ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যারিস্টার তাপসের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৬ মার্চ ২০১৮

ব্যারিস্টার তাপসের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) নির্বাচনে সরকারী দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের পর পদত্যাগপত্র জমা দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে তার সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জনকণ্ঠকে বলেন, পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। তার নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা অভাবনীয়। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ব্যারিস্টার তাপসের পদত্যাগের বিষয় নিয়ে আমরা কয়েকজন আইনজীবী আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে আরও অনেক আইনজীবী ছিলেন। তারা সবাই তাকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানান। অনেক আইনজীবী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। অন্যদিকে রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে সকালে সুপ্রীমকোর্ট বার নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী না হওয়ার ব্যর্থতার দায় কাঁদে নিয়ে ফজলে নূর তাপস পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ খবরে আইনজীবীরা তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণেই সুপ্রীমকোর্ট বার নির্বাচনে সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী শেখ মোঃ মোরশেদসহ আইনজীবীরা ফজলে নূর তাপসকে সে সময় বলেন, ‘আপনি পদত্যাগ করবেন না। আপনি আমাদের অভিভাবক। পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করুন। আমরা আপনার নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত হতে চাই না। আপনার নেতৃত্বে আমরা প্রয়োজনে শূন্য থেকে কাজ শুরু করব।’এ সময় তাপস কোন কথা না বলে নীরব থাকেন। এরপর সরকার সমর্থক সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবীরা ওই খবরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা তা প্রত্যাহারের আবেদন জানাতে থাকেন। তখন আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ফোন করি। উনি (সাধারণ সম্পাদক) বলেন, পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনেরও পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ হুমায়ুন বলেন, এসব সত্য নয়। তবে তিনি বলেন, পদত্যাগ করলে তো যে কোন সময় করা যায়। উল্লেখ্য, ২১ ও ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ মেয়াদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ-সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ১৪ পদের বিপরীতে মাত্র চারটিতে জয়ী হয়। নির্বাচনে সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০টি পদে জয় পায় বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবীদের প্যানেল। অন্যদিকে একটিসহ সম্পাদকসহ ৪টিতে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ বিজয়ী হয়।
×