ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

উবাচ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন মানেই নানা আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নানা রকমের দাবি দাওয়া। নির্বাচন কমিশন সবই শোনে। একেক দলের ব্যাখা বা অবস্থান একেক রকম। কেউ সরল দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করেন। কেউবা একটু গরল। তবে সরল গরল যাই হোক সমন্বিত দাবি থাকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। গেল পুরো সপ্তাহ রাজধানীতে আলোচনা ছিল রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। রাজনৈতিক নেতারাও বেশিরভাগ কথা বলেছেন এ নির্বাচন নিয়েই। নির্বাচন ইস্যুতে টেস্ট কেস, এসিড টেস্ট এসব শব্দ উচ্চারিত হয়েছে বারবার। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হলেও ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা ধরে রাখতে সিইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। ভোটের আগের দিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে এই আহ্বান জানিয়ে আসেন সংসদে প্রধান বিরোধী দলের নেতারা। বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম বৈঠকে বলেন, দেশের মানুষ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এটা আপনাদের জন্য একটা এসিড টেস্ট। এই টেস্টে যদি জয়যুক্ত হতে পারেন, তাহলে মানুষের আস্থা আপনাদের ওপর বাড়বে এবং থাকবে। আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বর্তমান ইসির কার্যক্রমে সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে তাজুল বলেন, ইসির ওপর জাতীয় পার্টির আস্থা রয়েছে। সিইসির সঙ্গে দেখা করলেও কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগও কমিশনের কাছে জানাননি দলটির নেতারা। তাজুল বলেন, আমাদের কোন অভিযোগ নেই। নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়, সেটি জানিয়েছি। নির্বাচনে অনেক সময় সাধারণত হঠাৎ করে প্রবলেমটা হয়। সেগুলো যাতে প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেই বিষয়টি তাদের জানাতে এসেছি। লাঙ্গলে আকর্ষণ নেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটা সময় ছিল যখন চাষাবাদে একমাত্র ভরসা ছিল লাঙ্গল। সময় বদলেছে। এসেছে আধুনিক প্রযুক্তি। চাষাবাদে ব্যবহার হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত যন্ত্র। তাই বলে কি লাঙ্গলের কদর থাকবে না। কদর থাকবে। আছেও। তাই হয়ত চাষের জমি থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ওঠে এসেছে লাঙল। কিন্তু বিরোধী পক্ষের তো তা সহ্য হবার নয়। এটাই দেশের রাজনীতির বৈশিষ্ট্য। যদিও সহ্য করতে পারলে কারও কোন ক্ষতি নেই। যেমন সহ্য হয়নি বিএনপি নেতা টুকুর ক্ষেত্রে। সময়ের গুরুত্বপূর্ণ লাঙল নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি। অর্থাৎ এরশাদের জাতীয় পার্টিকে পাত্তা না দেয়া। যদিও রংপুর হলো এরশাদের ঘাঁটি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু। তিনি বলেছেন, রংপুরে এক সময় লাঙ্গলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ ছিল। কিন্তু এখন লাঙলের আকর্ষণ কমে গেছে। লাঙল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তারা। এখন মানুষ বিকল্প হিসেবে ধানের শীষকে বেছে নিয়েছে। রাজনীতির প্রয়োজনেই যদিও তিনি একথা বলেছেন। রসিকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না দাবি করে টুকু বলেন, রংপুরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলে ধানের শীষের ভোটে বিপ্লব ঘটত। এই বিপ্লব ঠেকানোর জন্য যতরকম ব্যবস্থা আছে সব করেছে। রংপুরে ইসির পরীক্ষা ছিল কিন্তু তারা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। বিএনপির এই নেতা বলেন, রংপুরে যেটা হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কনটেস্টে নেই। সেখানে ধানের শীষ ও লাঙলের কনটেস্ট। রংপুরে এতদিন মানুষ লাঙলে ভোট দিয়ে কোন ফল পায়নি তাই ধানের শীষকে বেছে নিয়েছে তারা। তিনি বলেন, বিএনপি যাতে নির্বাচন করতে না পারে তাই সরকার বিভিন্ন রকম খেলা খেলেছে। দলের নেতাকর্মীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে এ ব্যবস্থাও তারা করেছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার এই বক্তব্যের জবাব সময়ই দেবে। লাঙলের গুরুত্ব এখন আছে কি নেই।
×