ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুব জাগরণের প্রত্যাশায় শুরু বাংলাদেশ যুব গেমস

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

যুব জাগরণের প্রত্যাশায় শুরু বাংলাদেশ যুব গেমস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুব জাগরণের প্রত্যাশা নিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ যুব গেমস। রবিবার একযোগে ৫০টি জেলায় মশাল জ্বলেছে। অর্থাৎ শুভ সূচনা হয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ যুব গেমসের। আজ থেকে শুরু হচ্ছে আনুষ্ঠানিক পথচলা। যে পথচলায় সঙ্গী হচ্ছে দেশের ৬৪টি জেলা। ২১টি ডিসিপ্লিনে ২৩ হাজার ২১০ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছে যুব গেমসে। ‘চল যাই চল এক সঙ্গে আজ ঘরের বাইরে, খেলার মাঠে খেলব সবাই-নতুন জোয়ারে’ এই স্লোগানটি হচ্ছে বাংলাদেশ যুব গেমসের। যুব গেমসে অংশগ্রহণ করা প্রত্যেককেই ভাতা দেয়া হবে। তাদের আসা-যাওয়া এবং যানবাহনের খরচও বহন করবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশন। আর যারা ভাল করবেন তাদের অলিম্পিক থেকে সার্টিফিকেট এবং পুরস্কার দেয়া হবে। এই উৎসবে আছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, জাতীয় ফুটবল দলের তারকা মামুনুল ইসলাম, হকি দলের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমিসহ বিভিন্ন ইভেন্টের সাবেক এবং বর্তমান তারকারা। তারায় তারায় খচিত তারকাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের যুব গেমসে অন্য মাত্রা যোগ হওয়ার প্রত্যাশা আয়োজকদের। মাশরাফিসহ মোট ২৩ ক্রীড়াবিদ শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করবেন। মূলত অনুর্ধ-১৭ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরাই এই গেমসে অংশ নিবে। আগামীর তারকা খঁজে বের করার লক্ষ্যেই এত বড় আয়োজন। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিভা অন্বেষণের জন্য এই প্রথম দেশের কোন গেমসকে উপজেলা পর্যায় থেকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হবে। ২১টি ডিসিপ্লিনে বিভিন্ন ইভেন্টে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর জেলা পর্যায়ের দলগুলোকে নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচী শুরু হবে আগামী বছরের ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৮ সালের ৯ মার্চ ঢাকায় বসবে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। ৭ দিনব্যাপী ওই প্রতিযোগিতা থেকেই বের হয়ে আসবে দেশের আগামীর তারকা। বৃহত্তম এই গেমসে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ যুব গেমসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তিনি। সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বাংলাদেশ যুব গেমসের মোট বাজেট ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। স্পন্সরদের কাছ থেকেও ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন আয়োজকরা। বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) অনুুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বিওএ’র মহাসচিব এবং গেমসের সাংগঠনিক সচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। রবিবার তিনি বলেন, ‘যে বাজেট ধরা হয়েছে তারচেয়ে বেশি খরচ হবে। আশা করছি স্পন্সরদের কাছ থেকেও এর বেশি অর্থ আমরা পাব। যেহেতু প্রথমবার আয়োজন করছি তাই ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। আশাকরি যুব গেমস থেকে ভবিষ্যতের অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে।’ যুব গেমসে সাড়া ফেলেছে বেশি ফুটবলে। দলগত এই ইভেন্টে ৩৬০টি উপজেলা, ৫১টি জেলা এবং ৭টি বিভাগ অংশ নিচ্ছে বৃহত্তম এই আসরে। মোট ৫ হাজার ৪০ জন ফুটবলার অংশগ্রহণ করছে। দলগত কাবাডিতে ৩২০টি উপজেলার ৩ হাজার ২০০ জন অংশ নিচ্ছে। এ্যাথলেটিক্সে ৩১৫টি উপজেলা, ব্যাডমিন্টনে ২৮২টি উপজেলা, দাবা ও সাঁতারে ১৮৮ উপজেলা, হ্যান্ডবলে ১২৩ উপজেলা, হকিতে ৩৮ উপজেলা এবং বাস্কেটবলে ২০টি উপজেলা অংশ নিচ্ছে। আর ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিনে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪১০ জন অংশ নিচ্ছে এ্যাথলেটিক্সে, সাঁতারে ১৮৮টি উপজেলায় ২ হাজার ৬৩২ জন সাঁতারু।
×