ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জমে উঠেনি কোরবানীর পশুরহাট ॥ লোকসানের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ৩০ আগস্ট ২০১৭

জমে উঠেনি কোরবানীর পশুরহাট ॥ লোকসানের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর) ॥ কোরবানীর আর মাত্র দুইদিন বাকী হাটে গরু-ছাগল জমজমাট থাকলেও নেই পর্যাপ্ত ক্রেতা। ফলে মাদারীপুরের কালকিনিতে কোরবানী উপলক্ষ্যে পশু কেনা-বেচার হাটগুলো এখনো জমে উঠেনি। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছে পশু ব্যবসায়ীরা। তবে চড়া দামের কারণে এখনই পশু কিনছেন না ক্রেতারা। গরু না কেনার জন্য বিক্রেতারা দায়ী করছে অবৈধ ভাবে গরু আসাকে। আর এ দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কালকিনিতে বড় বড় কোরবানির পশু বিক্রির হাটগুলো এখনো জমে উঠেনি। উপজেলার গোপালপুরের হাট, কালকিনির হাট, মিয়ারহাট ও ফাসিয়াতলা হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু-ছাগল উঠলেও ক্রেতারা কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না। বিদেশী গরু আসার কারনে অনেকটাই লোকসানের আশঙ্কা পশু ব্যবসায়ীদের। আর ক্রেতারা অভিযোগ করছেন চড়া দামকে। সেই সাথে এখনো দুইদিন বাকি থাকার অজুহাত তো আছেই। এবার প্রায় হাটে ৩লক্ষ থেকে ৫লক্ষ টাকার গরু এসেছে। তবে যাও দু’ একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৩৫হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে হাটগুলোতে বিকাল হয়ে গেলেও কোন কোন হাসিলের বইয়ের পাতা একটাও লেখা হয় নাই গরু বিক্রি না হওয়ায়। ক্রেতা বিক্রেতারা তুলে ধরেন তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা ও মুল্যের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোরবানীর উপলক্ষে যে হাটগুলো কালকিনিতে বসেছে , সেখানে যাতে বিদেশী কোন গরু আসতে না পারে এবং প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে যে অবৈধ হাট বসেছে, সেগুলো যেন না বসেতে পারে সেদিকে প্রশাসনের নজর দাবী করছেন সংশ্লিষ্টরা। কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এবছর উপজেলার যেসব স্থানে কোরবানির পশু বিক্রির হাট বসেছে সেখানে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উপজেলা প্রানী সস্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ডা. মো. নিরোধ বরন জয় ধর বলেন, যারা কোরবানি গরু কিনবে তারা যেন ঔষধ খাওয়ানো মোটা করা গরু কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য আমরা প্রতিটি হাটে দুইজনের একটি টিম দিয়েছি যদিও আমাদের জনবল কম।
×