ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে অপহৃত কলেজ ছাত্র উদ্ধার আটক ২৫

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৪ মে ২০১৭

বরিশালে অপহৃত কলেজ ছাত্র উদ্ধার আটক ২৫

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবির অভিযোগে অপহরনকারী আসাদুজ্জামান ফাহিমসহ ২৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দুইটায় বরিশাল পলিটেকনিক ইস্টটিউটের ছাত্র দ্বীপ কুমার পালকে উদ্ধার করতে গেলে ফাহিমের সহযোগিরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের এক কনস্টবল আহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, উদ্ধারকৃত অপহৃত দ্বীপ কুমার টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার ঘুনাবাড়ি গ্রামের কেশব পালের পুত্র ও বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিউটের ইলেকট্রিক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অপহরনকারী ফাহিম একই ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও ভোলা জেলার বাসিন্দা। দ্বীপ কুমার জানায়, বুধবার ভোর পাঁচটায় সে রাজধানী থেকে বাসযোগে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নামে। এরপরই ফাহিমের সাথে তার দেখা হয়। এসময় পলিটেকনিক ইন্সটিউটের ছাত্র রেজা হত্যায় সে (দ্বীপ) জড়িত এমন মিথ্যে অভিযোগ এনে ফাহিম তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে ফাহিম ও তার সাথে থাকা ৪/৫ জন সহযোগীরা দ্বীপকে কৌশলে অপহরন করে পলিটেকনিক ইস্টটিউটের ছাত্রাবাসের ৫০১ নম্বর রুমে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করে। তাকে (দ্বীপ) বৈদ্যুতিক শর্ট দেয়াসহ হত্যার জন্য দুইবার গলায় ছুড়ি ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। একপর্যায়ে দুইজনকে পাহাড়াদার রেখে ফাহিম ও তার অপর সহযোগীরা কলেজের সেমিনারে যোগ দেয়ার জন্য চলে যায়। দ্বীপ কুমার আরও জানায়, এ সুযোগে ঢাকায় ব্যবসা করা তার এক ভাইকে আটক অবস্থার কথা মোবাইলে এসএমএস করে জানানো পর তার ভাই পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ বেলা দুইটার দিকে অপহৃত দ্বীপ কুমারকে উদ্ধার করেন। এসময় ফাহিম ও তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। নগরীর কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে দ্বীপ কুমার পালকে উদ্ধার ও ফাহিমকে আটক করে নিয়ে আসার সময় ফাহিমের সহযোগীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর পুলিশ ফাহিমসহ ২৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দ্বীপকে উদ্ধারের সময় ওই রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে আনা ছোড়া, চাক্কু, প্লাস, কস্টটেপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ, চাঁদাদাবী ও অস্ত্র উদ্ধার আর পুলিশ আহত করার ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আটকের জন্যও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও সহকারী কমিশনার উল্লেখ করেন।
×