ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

১০ বাড়ি ভাংচুর

বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ ॥ আহত ২৪

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

বোয়ালমারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ফের সংঘর্ষ ॥ আহত ২৪

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, ২২ এপ্রিল ॥ উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সুজন সরদার ও মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে শনিবার ফের সংঘর্ষ হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় বোয়ালমারী থানা পুলিশের সঙ্গে পাশের সালথা থানা ও জেলার দাঙ্গা পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও শট গানের গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষের সময় বোয়ালমারী থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান, এসআই মোঃ সহিদুল ইসলাম, এসআই সুকুমার ও এসআই বোরাহান উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের ২৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে মান্নান গ্রুপের জাহাঙ্গীর মিয়া ও সুজন গ্রুপের তালিব, রুনু ও টিটুলকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। জানা যায়, শুক্রবারের সংঘর্ষের জের ধরে শনিবার সকালে সুজন সরদারের পক্ষের পাশের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউপি ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর রেজাউল শেখ ময়েনদিয়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে গেলে মান্নান মাতুব্বরের লোকজন তাকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সুজন সরদার ঢাল সড়কিসহ কয়েকশ’ লোক নিয়ে মান্নান মাতুব্বরের শ্রীনগর গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় ১০/১২টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, সুজন সরদারের মূল বাড়ি পাশের সালথা উপজেলা হলেও ময়েনদিয়া বাজারে নিয়ন্ত্রণ নিতে বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নে মোটরদিয়া গ্রামে বাড়ি করে। অপরদিকে পরমেশ্বর্দী ইউনিয়নের আ’লীগের সহসভাপতি মান্নান মাতুব্বর গত ১০ বছর ধরে ময়েনদিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। গত ইউপি নির্বাচনে মান্নান মাতুব্বর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী নুরুল আলম মিনার কাছে পরাজিত হয়। এরপর থেকে নুরুল আলম মিনা ময়েনদিয়া বাজারে মান্নান মাতুব্বরের আধিপত্য খর্ব করতে সুজন সরদারকে আ’লীগে যোগদান করায়। এরপর থেকেই এলাকায় উভয় গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। সুজন সরদার জানান, মান্নান মাতুব্বরের লোকজন আমার দলের ময়েনদিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল শেখকে মারধর করলে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বে বাড়ি ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, ছাত্রলীগের দু‘গ্রুপের দ্বন্দ্বে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে শহরের পাঠককান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আবাসিক হোটেল মাতৃভূমি, একটি দোকান ও ২-৩টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। জানা গেছে, সরকারী নাজিমউদ্দিন বিশ^বিদ্যালয় কলেজে শুভেচ্ছা ব্যানার লাগাচ্ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রওনক হাসান নান্নু। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জনি হাওলাদার বাধা দেয়। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের সহস্রাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি আবাসিক হোটেল, একটি দোকান এবং ২-৩টি বাড়িঘরে ভাংচুর চালানো হয়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত একজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
×