ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

বগুড়ায় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ সদরের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে পুনরায় ফল নিরীক্ষণের দাবিতে শনিবার সকালে শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। এর আগে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। অভিভাবক বলেছেন তদন্ত ও পুনর্নিরীক্ষণ না হলে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সার্টিফিকেটের (পিইসি) বৃত্তির ফলাফলে দেখা যায় উল্লিখিত দুই স্কুলের প্রথম সারির মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেউ বৃত্তি পায়নি। যাদের রোল নম্বর অনেক পেছনে তারাই বৃত্তি পেয়েছে। এ ফলাফল স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পিইসি পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ মেনে নিতে পারেননি। তারা জানিয়েছেন বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে কম্পিউটার কারসাজি টেম্পারসহ নানা ধরনের কৌশল করে মেধাবীদের বৃত্তির ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে। তারা মনে করেন এ কারসাজি এক ধরনের জালিয়াতি। নাম প্রকাশ করতে না চেয়ে এক অভিভাবক জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ছেলে জিলা স্কুল থেকে পিইসি পরীক্ষা দেয়। সে বৃত্তি পেয়েছে। উপজেলা অফিসে কর্মরত এক কর্মচারীর ছেলে যার রোল নম্বর পেছনের দিকে সে বৃত্তি পেয়েছে। অথচ ওই দুই স্কুলের যাদের রোল নম্বর মেধার মান অনুযায়ী অনেক উপরে তারা বৃত্তি পায়নি। বগুড়া সদর উপজেলায় এবারের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্ট পুলে ১০১ জন এবং সাধারণ গ্রেডে ১৯৩ জন বৃত্তি পেয়েছে। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনেক অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় ঘটনাটিকে ফল বিপর্যয় বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন তিনি অভিযোগপত্র পেয়েছেন। বিষয়টি ওপর মহলে জানানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।
×