প্রভাষক হিসাববিজ্ঞান
হলিফ্লাওয়ার মডেল কলেজ
ঝিগাতলা, ঢাকা।
ইমেইল- ৎরসড়হ০১@ুসধরষ.পড়স
মোবাইল : ০১৬৮০৫৫১৬৫৪
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজ তোমাদের জন্য থাকছে অংশীদারী সংগঠনের উপর আলোচনাঃ
শুরতেই জেনে রাখি অংশীদারী সংগঠন কি?
আমরা জানি, যে সংগঠনের মালিক সর্বনিন্ম ২ (দুই) জন ও সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) জন তাকে অংশীদারী সংগঠন বলে।
অংশীদারী সংগঠনে অংক সমাধানের জন্য ৩ (তিন) টি পদ্ধতি রয়েছে। যথাঃ
১) স্থায়ী মূলধন পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতি যাহা-ই হোক না কেন মূলধনের পরিমান ঠিক থাকে।অর্থ্যাৎ মূলধনের পরিমান হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটেনা। এই পদ্ধতিতে অংকের তিনটি অংশ থাকে যথাঃ-
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাবঃ এই অংশে অংশিদারদের কি পরিমান লাভ বা ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়।
খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাবঃ এই অংশে অংশিদারদের মূলধনের পরিমান নির্ণয় করা হয়।
গ) অংশীদারদের চলতি হিসাবঃ এই অংশে অংশীদাররা প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে কি পরিমান টাঁকা পাবে তা নির্ণয় করা হয়।
২) পরিবর্তনশীল মূলধন পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতির সাথে সাথে মূলধনের পরিমান হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটে। এই পদ্ধতিতে অংকের দুইটি অংশ থাকে যথাঃ
ক) অংশীদারদের লাভলোকসান বন্টন হিসাব: এই অংশে অংশিদারদের কি পরিমান লাভ বা ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা হয়।
খ) অংশীদারদের মূলধন হিসাব: এই পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের লাভ বা ক্ষতি ও অন্যান্য আয় –ব্যয়, উত্তোলন ইত্যাদি সমন্বয়ের পর প্রতিষ্ঠানের নিকট অংশীদারদের প্রাপ্য টাকার পরিমান নির্ণয় করা হয়।
৩) পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি: স্থায়ী মূলধন পদ্ধতি বা পরিবর্তনশীল মূলধন পদ্ধতি হিসাব রাখার পর যদি কোন কারনে কোন আয় বা ব্যয় সমন্বয় হতে বাদ পড়ে তখন তা পুনঃসমন্বয়ের প্রয়োজন পড়ে। আর এই পুনঃসমন্বয়ের জন্য পুন:সমন্বিত মূলধন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে অংক সমাধানের তিনটি অংশ থাকে যথাঃ-
ক) প্রারম্ভিক মূলধনঃ মূলত মূলধনের সুদ নির্ণয় করার জন্য প্রারম্ভিক মূলধন নির্ণয় করে নিতে হয়।
খ) পুন: সমন্বিত লাভলোকসান বন্টন হিঃ বাদ পড়া আয় বা ব্যয়ের সাহায্যে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।
গ) পুন:সমন্বিত মূলধন হিসাবঃ পূর্বে নির্ণীত সমাপনী মূলধনের সাথে বাদ পড়া আয় বা ব্যয় সমন্বয় করে এই হিসাবটি তৈরি করা হয়।
অংশীদারী সংগঠনের অংকগুলো সমাধানের জন্য নিন্মের কতিপয় গুরত্বপূর্ন বিষয় ভালো করে মনে রাখতে হবে। ১) মুনাফা বন্টনের হার দেওয়া না থাকলে সমান হারে বন্টন করতে হবে।
২) ঋনের উপর সুদের হার দেওয়া না থাকলেও ৬% হারে সুদ ধরতে হবে।
৩) বেতন উত্তোলন করেছে বলা থাকলে মূলধন হিসাবে যাবে না। বেতন ডেবিট/ চার্জ করা হয়েছে বলা থাকলে লাভ- লোকসান বন্টন হিসাবে যাবে না।
৪) বেতন আংশিক কারবার হতে আর আংশিক ব্যাক্তিগত ভাবে পরিশোধ করা হলে কারবারের অংশ টুকু লাভলোকসানে ও মূলধন হিসাবে যাবে আর ব্যাক্তিগত অংশটুকু শুধুমাত্র মূলধন হিসাবে যাবে।
৫) উত্তোলনের উপর সুদ ধরতে বললে, উত্তোলনের তারিখ দেওয়া না থাকলে ৬ মাসের সুদ ধরতে হবে।
উত্তোলনের সুদ ধার্য করার নিয়ম:
১) মাসের শুরতে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ১৩/২ বা ৬.৫
২) মাসের মাঝে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ১২/২ বা ৬
৩) মাসের শেষে উত্তোলন করলে, মাসিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ১১/২ বা ৫.৫
৪) সপ্তাহেরর শুরুতে উত্তোলন করলে, সাপ্তাহিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ৫৩/২
৫) সপ্তাহেরর মাঝে উত্তোলন করলে, সাপ্তাহিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ৫২/২
৬) সপ্তাহেরর শেষে উত্তোলন করলে, সাপ্তাহিক উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ৫২/২
৭) ৩ মাস পর পর উত্তোলন করলে, উত্তোলন ঢ সুদের হার ঢ ১.৫
শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের সুবিধার্থে এই অংকের প্রয়োজনীয় ফর্মূলা সমূহ নিন্মে প্রদান করা হলো-
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: