ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য-প্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৫ মার্চ ২০১৭

তথ্য-প্রযুক্তিতে নারী উদ্যোক্তা

মাইক্রোসফট। বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট জগতে এক সম্মানিত নাম। কেবল ব্যবসায়িক সাফল্য নয় পাশাপাশি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে মানবিক প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া নেতৃস্থানীয় এক প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। এছাড়াও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্য ফেরাতে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ এবং সমর্থন দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মাইক্রোসফট ফিলানথ্রসিস এর এমনি এক প্রকল্পের তালিকায় এবার অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশ। মাইক্রোসফট ফিলানথ্রসিসের ইয়ুথ স্পার্ক গ্র্যান্ট পেল বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য দেশের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ নারী উদ্যোক্তা গড়ে তোলা। তাদের টার্গেট সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির বলেন, আগামী ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যে দেশের ৫ হাজার ২০০টি ডিজিটাল সেন্টারে ৫ হাজার ২০০ নারী যেন তাদের নিজস্ব আইটি ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে, সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশ মিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৫ হাজার ২০০টি ডিজিটাল সেন্টারে কাজ করে এমন সব নারীর প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এ নারীরা যেন পরবর্তীতে প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে এটুআই ও মাইক্রোসফট বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শক্তি ফাউন্ডেশন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আরও বেশিসংখ্যক নারীর সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে শক্তি ফাউন্ডেশনকে সহায়তা করবে মাইক্রোসফটের ইয়ুথ স্পার্ক গ্র্যান্টটি। প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা তৈরির এ প্রোগ্রামে নারীদের কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ব্যবহার, মেরামত ও সমস্যা সমাধানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা যাতে তারা ছোট আইটি রিপেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আওতাধীন দেশের ৫ হাজার ২০০টি ডিজিটাল সেন্টারকে আইটি রিপেয়ার সেন্টারে পরিণত করতেই এ উদ্যোগ। উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্বের ৫৫টি অঞ্চলের ১০০টি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান (এনপিও)কে গ্র্যান্ট দিয়েছে মাইক্রোসফট ফিলানথ্রসিস, এতে প্রতি তিন বছরে ৭৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করে প্রতিষ্ঠানটি। এ উদ্যোগের সফলতা একদিকে যেমন প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত নারীদের উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিকভাবে করে তুলবে স্বাবলম্বী তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে এগিয়ে নেবে একধাপ।
×