ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামী নির্বাচনেও মহাজোট জয়ী হবে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আগামী নির্বাচনেও মহাজোট জয়ী  হবে ॥ নাসিম

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা আগামী নির্বাচনে আসুন, খেলা হবে মাঠে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি একজন সৎ ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ও দক্ষ রেফারি হিসেবে ভোট পরিচালনা করবে। এ ভোটে যারাই জয়ী হবে, তা মহাজোট মেনে নেবে। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচনের বিকল্প নেই, ভোটের বিকল্প ভোট। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির অহেতুক পানি ঘোলা করার কোন সুযোগ নেই। তার চেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেয়াই ভাল। যে নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হবে। এ নির্বাচনেও মহাজোট বিজয়ী হবে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট জয়ী হলে দেশ আলোকিত হবে। তিনি শনিবার বিকেলে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে মহাজোটকে নির্বাচিত করতে হবে। এ নির্বাচনে যদি মহাজোট জয়লাভ না করে তাহলে নতুন করে বাংলাভাই-জঙ্গীর জন্ম হবে। নির্বাচন তথা ভোটের ব্যবস্থা বজায় থাকলে জনগণের রায়ে সরকার গঠিত হয়, মন্ত্রী-এমপি হন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অক্ষুণœ থাকে। ভোটের বিকল্প ভোট, নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। ২০১৪ সালে একজন নেত্রী দেশে আগুন জ্বালিয়ে জঙ্গীবাদকে উস্কানি দিয়ে ভোটকে বানচাল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। বাংলাদেশে একদিন জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। গুলশানে তারা ৩০ জন বিদেশীকে হত্যা করে, শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে মুসল্লিদের হত্যা করে। তারপরও দেশপ্রেম ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে পুলিশ জীবনের বিনিময়ে মুসল্লিদের রক্ষা করেছিল। ইসলাম জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দেয় না, মুসলমান হয়ে মুসলাম হত্যার মতো জঘন্য কাজ ইসলামে নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গী দমন হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কারণে বিশ্বব্যাপী আমাদের দেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল। তিনি মায়ের স্নেহ দিয়ে জনগণের কাজ করছেন। তারই মস্তিষ্কজাত ১৪ হাজার কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক দেশজুড়ে গ্রাম-গ্রামান্তরে গরিব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। অথচ খালেদা জিয়া ২০০১ সালে এ সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকারে এসে তা আবার চালু করেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর গ্রামের গরিব মানুষের সেবার জন্য থানা হেলথ কমপ্লেক্স পদ্ধতি চালু করেছেন। পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ফকরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও আন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএ মহিদ, পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ। মন্ত্রী ভা-ারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজের জন্য ৩০ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণাসহ পিরোজপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত ও ৪৫ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।
×