ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ডিসেম্বরে গ্যাসের ভাল খবর আসবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ডিসেম্বরে গ্যাসের ভাল খবর আসবে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের ডিসেম্বরে গ্যাসের ক্ষেত্রে ভাল খবর আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে গ্যাসের স্বল্পতা একটি বড় সমস্যা। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে গ্যাসের ক্ষেত্রে ভাল খবর আসবে। তিনি বলেন, গ্যাস সমস্যা সমাধানে ১০৮টি কূপ খনন করা হবে। ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস রয়েছে, সেখানে দুটি কূপ খনন করা হচ্ছে। বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা বিমানবন্দরের ভোগান্তির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। লাগেজ পাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এর বেশি কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন, আমাদের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের লাগেজ খুঁজে নিতেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আরও অনেক জটিলতাও আছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ডের খুবই অভাব। বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ, জমির পরিমাণও কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। ইতোমধ্যে ২১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩টি সরকারী ও ১৮টি বেসরকারী। জিএসপি প্রসঙ্গ টেনে তোফায়েল আহমেদ বলেন, জিএসপি নিয়ে ভাবার কিছু নেই। আমরা শর্তপূরণ করেছি, আর কিছু বলব না। তবে টিপিপি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ কেটেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অস্থির বাজারে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। রাজধানীর আড়তগুলোর অভিযোগ, মিল মালিকরা বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ করায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না বাজার। অভিযোগ অস্বীকার করে মিল মালিকদের দাবি, ধান উৎপাদন কম হওয়ায় বাড়ছে চালের দাম। যদিও সরকার বলছে, আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ধানের সঙ্কট তৈরি করছে। তবে কৃষক চলতি বছর ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছে আমন ধানের ভরা মৌসুম। সাধারণত নতুন ধান ওঠার সঙ্গে এ সময়টাতে বেড়ে যায় নতুন চালের সরবরাহ, ফলে কিছুটা কমে যায় পুরনো চালের দামও। কিন্তু চলতি বছর বাজারে দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন রূপ। গেল এক মাসে পাইকারি পর্যায়ে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত। ১২৫০ টাকার মোটা চালের বাজারদর এখন ১৭৫০ টাকা। নাজিরশাইল, মিনিকেট আর আটাশের মতো চাহিদাসম্পন্ন চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। আড়তগুলোর অভিযোগ, মিলারদের কারসাজিতেই অস্থির চালের বাজার, যদিও তা মানতে নারাজ মিল মালিকরা। ধারাবাহিকভাবে চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশ দেখছে সরকারও, বিপরীতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে বলেও মনে করছেন খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘চালের বাজার এখন ওঠানামা করছে- সেটি সত্য এবং একটি কৃত্রিম সঙ্কটের সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী। ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করার পর এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর ভারত থেকে চাল আমদানি করা বন্ধ হয়ে গেছে। আর ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা এ চালের বাজারে ঢোকায় একটু অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র করেও তারা কোন লাভবান হচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘চালের বাজারে দর যেভাবে ওঠানামা করছে সেটাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।’
×