ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আর যুদ্ধের বিভীষিকায় জড়াব না ॥ শিনজো আবে

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

আর যুদ্ধের বিভীষিকায় জড়াব  না ॥ শিনজো আবে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী হামলার শিকার ঐতিহাসিক পার্ল হারবার সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অঙ্গীকার করেছেন, জাপান আর কখনও যুদ্ধে জড়াবে না। ৭৫ বছর আগে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি তিনি ‘আন্তরিক ও চিরস্থায়ী সমবেদনা’ জানান। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আবে। খবর বিবিসি ও এএফপির। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর জাপানী সৈন্যদের আক্রমণে ২৩০০ মার্কিন নৌ সেনা ও কয়েক ডজন জাপানী সৈন্য নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশই বিষয়টিকে ক্ষোভের চোখে দেখছিল। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার আমন্ত্রণে আবের এই সফর চলতি মাসের প্রথম দিকে ঘোষণা করা হয়েছিল। আবে বলেন, আমরা কখনও আর যুদ্ধের বিভীষিকায় জড়াব না। এই কঠিন শপথ জাপানের জনগণ নিয়েছে। পুনর্মিলনের ক্ষমতাই আমাদের একত্রিত করেছে, যা সহনশীলতার চেতনার মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌঘাঁটিতে একদিনে স্মরণকালের বৃহত্তম বিমান হামলা চালিয়েছিল জাপান। ওই হামলায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর ২,৩০০ কর্মী নিহত ও ঘাঁটিতে থাকা আটটি যুদ্ধজাহাজের সবগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এর মধ্যে চারটি ডুবে যায়। জাপানের এ হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়। ওই হামলার পর এই প্রথম দুটি দেশের শীর্ষ দুই নেতা একসঙ্গে পার্ল হারবার পরিদর্শন করলেন। দুই নেতা হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রার্থনা করলেও আবে হামলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেননি। আবের উদ্দেশে ওবামা বলেন, বন্ধুত্বের চেতনায় আপনাকে এখানে আমি স্বাগত জানাই। আমি আশা করি যে, একসঙ্গে আমরা বিশ্বকে এই বার্তা দিতে চাই যে, যুদ্ধের চেয়ে শান্তিই বেশি কল্যাণ বয়ে আনে এবং প্রতিশোধের চেয়ে পুনর্মিলনেই বেশি লাভবান হওয়া যায়। ১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সই করতে সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার পথে ও ফেরার সময় প্রথম জাপানী নেতা হিসেবে পার্ল হারবার পরিদর্শন করেছিলেন শিগুরো ইয়োশিদা। এর আগে চলতি বছরের ২৭ মে ওবামা হিরোশিমা সফর করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে হিরোশিমায় বিশ্বের প্রথম আনবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই একটি বোমায় হিরোশিমা শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দা নিহত হন।
×