এক মেরু বিশ্বে ‘বিশ্ব মোড়ল’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেছে নিয়েছে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট। আবার মার্কিনীদের বিচারেও বিশ্বের সেরা ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভøাদিমির পুতিন দেখিয়েছেন তার পেশী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেছে ব্রিটেন। ইউরোপজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা, অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা, কলম্বিয়ার গৃহযুদ্ধ নিরসনে চুক্তি, সাহিত্যের সংজ্ঞা বদলে দিয়ে ডিলনের নোবেল জয়, ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মৃত্যু ছিল বছরের আলোচিত অধ্যায়। আলোচনায় উঠে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবিক সঙ্কট। বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে বদলে দিতে যাওয়া এলন মাস্কও আছেন আমাদের বিবেচনায়। সব আলোচনা ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বছরজুড়ে ছিল আলোচিত। এর মধ্যে থেকে আমরা বেছে নিয়েছি সে সব ঘটনা যা কেবল ২০১৬ নয় আগামী দিনকেও প্রভাবিত করবে।
লিখেছেন- আকিল জামান ইনু
বিদায়ের প্রহর গুনছে ২০১৬। দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন বছর-২০১৭। একটি প্রবাদ আছে, ‘বছর শেষ বলতে আসলে কিছুর শেষ নয় আবার নয় কিছুর শুরু। কারণ সময় কোন হিসাবের অপেক্ষা না করেই বয়ে চলে।’ তার পরও মানুষ তার কাজের সুবিধার্থে সময়কে ভাগ করে নেয় নানা এককে। বছর তেমনই একটি একক। কূল কিনারাহীন সময়ের যে মুহূর্ত আমরা পার করছি তার ক্রমিক সংখ্যা ২০১৬। বছরটি নিঃসন্দেহে ঘটনাবহুল। এক মেরু বিশ্বে ‘বিশ্ব মোড়ল’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেছে নিয়েছে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট। আবার মার্কিনীদের বিচারেও বিশ্বের সেরা ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভøাদিমির পুতিন দেখিয়েছেন তার পেশী। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেছে ব্রিটেন। ইউরোপজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা, অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা, কলম্বিয়ার গৃহযুদ্ধ নিরসনে চুক্তি, সাহিত্যের সংজ্ঞা বদলে দিয়ে ডিলনের নোবেল জয়, ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মৃত্যু ছিল বছরের আলোচিত অধ্যায়। আলোচনায় উঠে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবিক সংকট। বিজ্ঞানের অগ্রগতি আর প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে বদলে দিতে যাওয়া এলন মাস্কও আছেন আমাদের বিবেচনায়। সব আলোচনা ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও বছরজুড়ে ছিল আলোচিত। এর মধ্যে থেকে আমরা বেছে নিয়েছি সে সব ঘটনা যা কেবল ২০১৬ নয় আগামী দিনকেও প্রভাবিত করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
বছরজুড়ে সারা বিশ্ব পাখির চোখে তাকিয়ে ছিল ৮ নবেম্বর পানে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্ধারিত দিন। প্রায় সারা বছর আলোচনার কেন্দ্রে ছিল মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে নানা বিষয়। কৌতূহল চরমে উঠে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন লাভের পর। অপরদিকে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী হিলারির মনোনয়ন লাভের পথটিও স্বচ্ছ ছিল না। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা পর্বে রচিত হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ির নতুন ইতিহাস। প্রেসিডেনসিয়াল বিতর্কগুলোও ছিল তাই বিশেষ করে সৌজন্যের সব পর্দা সরিয়ে ট্র্যাম্প যখন দাবি করেন নিজের বিজয় ছাড়া কিছুই তিনি মানবেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন হিলারি। ই-মেইল তদন্তের কারণে আলোচনায় ছিলেন এফবিআই পরিচালক জেমস কোনি। আর যৌন হয়রানির অভিযোগ, কর ফাঁকি, মিথ্যাচারের অভিযোগে জর্জরিত ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় পরাজিত পক্ষ বোধকরি মূলধারার মিডিয়া প-িত আর জরিপকারী সংস্থাগুলো। ডোনাল্ড ট্রাম্প সফল ব্যবহার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নির্বাচনী দৌড়ে শুরু থেকেই জরিপে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে থাকা হিলারি যখন ‘ম্যাডাম প্রেসিডেন্ট’ সম্বোধন শুনতে প্রস্তুত প্রায়। তখনই ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ সেøাগানে সাদা চামড়ার মার্কিনীদের ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ট্রাম্প। একে ‘ট্রাম্পেড’ বা ‘ট্রাম্পস আপ’ যাই বলুন ২০ জানুয়ারি পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ায় ট্রাম্পের ভূমিকা স্বীকার করতেই হবে।
ব্রেক্সিট ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের এক্সিট বোঝাতে ব্রেক্সিট শব্দটির উৎপত্তি। ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে ব্রিটেনের সংযুক্তি ১৯৭৩-এ। ১৯৯৩তে ইইউ-এ নিজস্ব মুদ্রা, সীমানামুক্ত বিচরণ, নীতিমালা প্রণয়নসহ অনেক পরিবর্তন আসে। যা একপর্যায়ে অসন্তুষ্ট করে তোলে ব্রিটিশ নাগরিকদের। ফলে ইইউ’তে থাকা না থাকা সংক্রান্ত গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ব্রিটেনে ২৩ জুন। সাড়ে চার কোটি ভোটারের মধ্যে ৭২% ভোটার ভোট প্রদান করেন। থাকার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮% আর বিপক্ষে ৫২%। ব্রিটিশ জনতা জানিয়ে দেয় তারা এক্সিটের পক্ষে। এই সিদ্ধান্ত নৈতিক পরাজয় বলে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন থেরেসা মে। ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা ছিল ইউরোপজুড়ে যা এখনও চলমান। এ ছাড়াও ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলা ও শরণার্থী সমস্যাও ছিল আলোচনায়। এর মাঝেই বিভিন্ন ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে জার্মান নেতা এ্যাঞ্জেলা মারকেল হয়ে উঠেছেন ইইউর মেরুদ- এবং বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম প্রভাবক।
ভøাদিমির পুতিন ও সিরিয়া
ফোর্বস ম্যাগাজিনের চোখে তিনি এ বছর বিশ্বের ১নং ক্ষমতাধর ব্যক্তি। এ নিয়ে পর পর চারবার তিনি এলেন এ তালিকার শীর্ষে। রাশিয়াতে তার একক নিয়ন্ত্রণ, মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিতকরণে তার ভূমিকা নিয়ে তিনি ছিলেন আলোচনায়। তবে এ বছর ভøাদিমির পুতিন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন সিরিয়াকে জড়িয়ে। গত বছর যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সহযোগিতায় আসাদের পতন ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। এমনকি পরবর্তী সরকারপ্রধান কে হবেন এ নিয়ে চলছিল আলোচনা। তখন মাঠে নামেন পুতিন। হাজারো সমালোচনা আর হুমকির মুখেও আসাদের পক্ষে অব্যাহত রাখেন পেশী প্রদর্শন। বছর শেষে এসে আলেপ্পোতে ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আক্রমণ সৃষ্টি করে মানবিক বিপর্যয়। তবে আলেপ্লোর পতন এর মাধ্যমে সিরিয়ার বহুজাতিক খেলার মাঠে পুতিন এখন একক খেলোয়াড়। যদিও বছর শেষে তুরস্কে রুশ রাষ্ট্রদূত হত্যা পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে পুতিন ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার দক্ষতা এবং হিসেবী ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতা, যা দিয়ে তিনি নিশ্চিতভাবেই প্রভাবিত করবেন আগামী পৃথিবীকে।
উত্তর কোরিয়া ও কিম জং উন
পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন ও সব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সফল পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার এশীয় মিত্র যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের। সেই সঙ্গে পরীক্ষিত বন্ধু চীন পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে অবস্থান পরিবর্তনে। ২৫ মিলিয়ন মানুষের ভাগ্য বিধাতা কিম ক্ষমতা রাখেন আগামী দিনের বিশ্ব রাজনীতিকে প্রভাবিত করার।
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সঙ্কট
গত ৯ অক্টোবর পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাঙালী দুষ্কৃতকারী নিধনে যে অভিযান শুরু করে তা রূপ নেয় জাতিগত নিধনে। এমন্যাস্টি বলছে এটি মানবিক বিপর্যয়। ভিটেমাটিহারা রোহিঙ্গারা আশ্রয় খুঁজছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। এমন্যাস্টি সূত্রে বিবিসি জানায় এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিষয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সাং সুচির নীরবতা তার নৈতিক ও রাজনৈতিক পরাজয়। তার এই নীরবতা অবাক করেছে সারা বিশ্বকে।
কলম্বিয়ার শান্তি চুক্তি
দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে চলে আসা গৃহযুদ্ধ নিরসনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফার্কের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে শান্তিতে নোবেল লাভ করেন কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি হুয়ান ম্যানুয়েল সান্টোস। এই ঘোষণার ক’দিন পরেই দেশবাসী ০.৪% ভোটে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করে।
যা তার উদ্যোগের প্রতি আঘাত বলেই বিবেচিত হয়। এই প্রত্যাখ্যানের পরও উভয় পক্ষই বিষয়টি নিয়ে চুক্তি মোতাবেক এগিয়ে যায়। আর এখানেই শান্তির লক্ষ্যে তাদের সদিচ্ছা প্রমাণিত। চুক্তির কিছু ধারার কারণে এর সাফল্য আগামী দিনে গৃহ বিবাদে রত দেশগুলোকে শান্তির পথ দেখাবে।
রিও অলিম্পিক
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ক্রীড়া উৎসব। এবারের অলিম্পিক শুরু হয় ৫ আগস্ট ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও’তে। শুরু থেকে ২১ আগস্ট সমাপ্তি পর্যন্ত সারা বিশ্বের দৃষ্টি ছিল অলিম্পিকে। একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরপর তিনবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বিজয়ী হয়ে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন উসাইন বোল্ট।
বব ডিলনের নোবেল জয়
১৩ অক্টোবর সুইডিশ একাডেমি অব নোবেল জানায় ‘সঙ্গীত ঐতিহ্যে নতুন কাব্যিক মূর্ছনা সৃষ্টির জন্য’ এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বব ডিলন। ওঠে আলোচনার ঝড়। দু’পক্ষে ভাগ হয়ে যায় সারা বিশ্বের সাহিত্যামোদী মহল। তবে এই সিদ্ধান্ত সাহিত্যের সংজ্ঞায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এলন মাস্ক ও তার স্বপ্ন
ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্ব সেরা ক্ষমতাবানদের তালিকায় তাকে ২১তম স্থানে ঠাঁই দেয়াটা অনেকের কাছেই চমক বলে বিবেচিত হচ্ছে। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এই স্বপ্নদ্রষ্টা ও দক্ষ ব্যবস্থাপক বদলে দিতে যাচ্ছেন আগামী পৃথিবী। তার কোম্পানি টেসলা মটরসের চালকবিহীন পরিবেশবান্ধব গাড়ি ও হাইপারলুপ আগামী দিনে বদলে দেবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। মহাকাশ প্রযুক্তিতে আমাজান এর মত জায়ান্টকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন তিনি। তার সোলার সিটি প্রকল্প জ্বালানি ব্যবস্থায় এনেছে নতুন মাত্রা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন গবেষণার বিপরীতে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন নিজস্ব ধারণায়। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন আগামী পৃথিবীতে মানুষের জীবনধারণকে করবে সহজতর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
বছরজুড়ে যে কোন মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে, জনমত ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো উঠে এসেছে অন্য মাত্রায়। কেবল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ভূমিকাই তার শক্তিমত্তা বোঝাতে যথেষ্ট। বছরজুড়ে সব আলোচনা ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজেই উঠে এসেছে আলোচিত চরিত্ররূপে। এই ভূমিকা আগামীতে আরও বাড়বে বলেই ধারনা।
ভারত ও নরেন্দ্র মোদি
আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসেবে ভারত এ বছর নিজের অবস্থানকে সংহত করেছে। তবে ভারত আলোচনায় আসে জাপানের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। উল্লেখ্য ভারত এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই জাপানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরে সফল হয়। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি এমন দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গেই প্রথম পরমাণু চুক্তি করল জাপান। বছর শেষে ৮ নবেম্বর ৫০০ ও ১০০০ রূপীর নোট বাতিল করে আলোচনায় আসেন নরেন্দ্র মোদি।
ফিদেল ক্যাস্ট্রোর জীবনাবসান
নক্ষত্রের পতন। বিশ্বজুড়ে মুক্তিকামী মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা ৯০ বছর বয়সী এই মানুষটি ছিলেন বিপ্লবের সমার্থক। সারা বিশ্বে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতার প্রতীক। সেই ১৯৫৪তে ব্যাতিস্তার আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, ‘আমার নাম ইতহাসে লেখা রবে’। অন্তত ১৫৬টি হত্যা চেষ্টা ফাঁকি দিয়ে ৯০ বছর বয়সে ২৫ নবেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় শেষ শ্বাসটি গ্রহণ করেন এই মহান বিপ্লবী -কমরেড ফিদেল ক্যাস্ট্রো। জর্জ ডব্লিউ বুশকে উৎসর্গ করা তার সেই অমর বাণী ‘স্বপ্নের মৃত্যু নেই’ আজ তাকে উৎসর্গ করে বলাই যায়, তার স্বপ্নের কারণে তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবেন আরও বহুদিন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: