ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কবিতা

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

কবিতা

খেরোখাতা মানজুর মুহাম্মদ শেষ হুঁইসেল বাজিয়ে আঁধারের জিপার খুলে ঢুকে গেছে ট্রেন মোলায়েম কালো মখমলে প্রাণহীন অথর্ব পড়ে আছে সুনসান স্টেশনে নৈঃশব্দ্যের স্তূপ ক্বচিৎ শিশিরের ফিসফাস সিøপার পাথরে কাঁটা ঝোপে গোঙানি, অদূরে কোনো ক্ষুধার্ত বারবণীতার খেরোখাতা লিখছে আগত সকালের। ** সোনালি বিকেল সৈয়দ শরীফ বিকেলের মিষ্টি রোদে ঝিলমিল করে বালুচর- নদীরাও হাসে; হেসে ওঠে নদীর কিনারে দলবাঁধা কাশবন! বাতাসের মৃদু স্পর্শে দুলতে থাকে তারা; দুলতে থাকে কচুরিপানার দল- জলাঙ্গীর দুষ্টু ঢেউয়ে দুলতে-দুলতে হয়ে যায় তাদের নদীভ্রমণ! আর এরই মাঝেই হতে থাকে দুলন্ত সহবাস। গোধূলির সোনালি বালুচরে দলবেঁধে খেলা করে দুষ্টু যুবকেরা; খেলা করে শিশু-কিশোরসহ আরো অনেকেই! এতে করে মুচকি হাসি দেয় বৌছি, দারিচাসহ সকল খেলাগুচ্ছ। . নিভু-নিভু তন্দ্রালোতে সহসাই সন্ধ্যা আসে; এসে কেড়ে নেয় মিষ্টি রোদেও সোনালি অস্তিত্ব! ধীরে-ধীরে সকলেই বাড়ি ফেরে- শুধু থেকে যায় নদীর ধারে গুচ্ছ-গুচ্ছ কাশবন; কচুরিদলও প্রতীক্ষায় থাকে একটি নতুন সূর্যের জন্য। মাঝে মধ্যে রাত্রিবেলায় চাঁদও হাসে- হেসে হেসে দিতে চায় তাদের আলতো সান্ত¡না কিন্তু এতেই তো আর মিষ্টি রোদের মুচকি হাসিতে ‘সোনালি বিকেল’ আসে না। উপেক্ষার প্রতিমা আবদুশ শুকুর খান উপেক্ষা ঘন হতে হতে পাথর হলে নিজেকে ধুপের মতো পুড়িয়ে পুড়িয়ে স্তব্ধ বসে থাকি পাথরের কাছে উৎসর্গে উপশম আছে জেনে, শেষে পাথরে নিঃশব্দে খোদাই করি নির্মম অন্ধকার। বহু জাগরণ শেষে, অন্ধকার ছিন্নভিন্ন করে আলোর ঝরনা ভিজিয়ে দেয় আমার উপেক্ষার অনন্য প্রতিমা... ** উপেক্ষার প্রতিমা আবদুশ শুকুর খান উপেক্ষা ঘন হতে হতে পাথর হলে নিজেকে ধুপের মতো পুড়িয়ে পুড়িয়ে স্তব্ধ বসে থাকি পাথরের কাছে উৎসর্গে উপশম আছে জেনে, শেষে পাথরে নিঃশব্দে খোদাই করি নির্মম অন্ধকার। বহু জাগরণ শেষে, অন্ধকার ছিন্নভিন্ন করে আলোর ঝরনা ভিজিয়ে দেয় আমার উপেক্ষার অনন্য প্রতিমা...
×