স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইয়ন মরগান ও এ্যালেক্স হেলসের পর বার্মি আর্মিও বাংলাদেশে আসছে না। তারা বাংলাদেশে না আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তবে মরগান ও হেলস না আসার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আশায় আছেন ইয়ান বেল। তিনি বাংলাদেশে আসতে চান বলেই মনের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সফরে আসতে মুখিয়ে আছেন বেল। বাংলাদেশ সফরে দলে থাকতে চান তিনি। বাংলাদেশ সফরে সুযোগ পেলে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করবেন বেল। ২০১৫ সালের নবেম্বরের পর আর টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি বেল। একই বছর মার্চের পর ওয়ানডে থেকেও আছেন বিরত। তাই বাংলাদেশ সফরে এসে সুযোগটি কাজে লাগানোর আশায় আছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে দলে থাকলে বেলের ক্যারিয়ারের ‘লাইফলাইন’ মিলতে পারে। প্রায় এক বছর ধরে ইংল্যান্ড দলের বাইরে থাকা বেল বাংলাদেশ সফরে একটা সুযোগ চান। সুযোগটা পেলেই ১১৮ টেস্ট ও ১৬১ ওয়ানডে খেলা এই ব্যাটসম্যান তা কাজেও লাগাতে চান। বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড দল নিজেদের খেলা উন্নত করে উপমহাদেশে জিততে চায়। সুতরাং এটা বলে দেয়া যায়, এবারের শীত মৌসুমে উপমহাদেশ সফরটা দারুণ আকর্ষণীয় হবে। আশা করছি এই উত্তেজনার অংশ হতে পারব আমি। যদি সুযোগ নাও পাই, তবু চাইব ইংল্যান্ড যেন ওখানে গিয়ে ভাল করে।’
বাংলাদেশে পা দিয়েই উপমহাদেশ সফর শুরু করবে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশে ২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলে দল যাবে ভারতে। সেখানে ভারতের বিপক্ষে ৫ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি২০ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। বেলের মতে, ‘বাংলাদেশ সব সময়ই উন্নতি করছে। ভারতের মাটিতে গিয়ে ভারতকে হারানোর মতো কঠিন কাজ খুব কমই আছে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলাটা কী। আমি জানি ইংল্যান্ডের হয়ে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে রান করাটা কত কঠিন। তবে আমি এখন এই মুহূর্তে ওয়ারউইকশারকে নিয়েই বেশি ভাবছি।’
এদিকে বার্মি আর্মি বাংলাদেশে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের যে প্রান্তেই ইংল্যান্ডের খেলা থাকুক, গ্যালারিতে বার্মি আর্মি থাকবেই। কিন্তু এবার বাংলাদেশে তাদের দেখা যাবে না। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের এ সমর্থকদের পাবে না বাংলাদেশ। বিসিবির নিরাপত্তা প্রস্তাবকেও যথেষ্ট মনে করছে না বার্মি আর্মি। নিজেদের ওয়েবসাইটেই এক বিবৃতিতে সংগঠনটি সেটাই জানিয়েছে, ‘আমাদের নিয়ে ভাবার জন্য বিসিবির কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে সেটা এফসিওর (যুক্তরাজ্যের বৈদেশিক ও কমনওয়েলথ অফিস) উপদেশ অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত নয় বলেই আমরা মনে করি।’
বার্মি আর্মির মূল ভয়টা আসলে যাতায়াত নিয়েই। হোটেল থেকে মাঠে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসার জন্য তারা বাংলাদেশের বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগযোগ করেছিল। তবে এ ক্ষেত্রে খরচটা সমর্থকদেরই বহন করতে হতো। আগের সফরগুলোর কথা উল্লেখ করে এবার বাংলাদেশে আসতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশও করেছে বার্মি আর্মি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: