ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অতীত ভুল শোধরাতে জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যঅহারের সিদ্ধান্ত ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ২৯ আগস্ট ২০১৬

অতীত ভুল শোধরাতে জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যঅহারের সিদ্ধান্ত ॥ হানিফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, অতীতের ভুল শোধরাতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জিয়া কী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? তিনি কী স্বাধীনতা চেয়েছিলেন? জিয়া মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিলেন। রবিবার জাতীয় জাদুঘরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ঢাকা বিভাগীয় কমিটির এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের নেতা আবু হানিফ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের সহ-সভাপতি নূরে আলম, মহাসচিব হারুন হাবিব প্রমুখ। হানিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আর্মি অফিসার কর্নেল আসলাম বেগ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়ার কাছে চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিতে আসলাম বেগ বলেছিলেন- তোমার কর্মকা-ে আমরা খুশি, তুমি এগিয়ে যাও। নিশ্চয়ই পাকিস্তানের পক্ষে জিয়া কাজ করেছিলেন বলেই- তারা খুশি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তাকে স্বাধীনতার পদক দেয়া ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ভুল চিরদিন ভুল থাকতে পারে না। তাই সেটা শোধরাতেই এ পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গেও জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন। এটার যথেষ্ট প্রমাণও আছে। পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে অধ্যাদেশ জারি করে এ হত্যার বিচার বন্ধ করে দেন তিনি। এমনকি খুনীদের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃতও করেন জিয়া। ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ‘স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গীরা যখন ধরা পড়ছে, তাদের যখন মারা হচ্ছে তখন বিএনপি বলছে জঙ্গীর নাম করে সাধারণ মানুষকে মারা হচ্ছে! আবার তারা বলছেন এভাবে হত্যা না করে গ্রেফতার করলে অনেক তথ্য পাওয়া যেত। আসলে জঙ্গীদের রক্ষার জন্য তারা এখন সুর পাল্টাচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গীদের জীবিত ধরতে খালেদা জিয়ার মায়াকান্না দেখেই বোঝা যায় জঙ্গী হামলার নেপথ্যে বিএনপি-জামায়াতই রয়েছে। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগদানকারীরা কাপুরুষ ছিলেন ॥ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন- তারা কাপুরুষ ছিলেন। এসব কাপুরুষের কারণেই আমরা সেদিন প্রতিরোধ করতে পারিনি। আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল কথা বলার সুযোগ পান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল কুশীলব ছিলেন জিয়া। আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক-রশীদের টেলিভিশন সাক্ষাতকারে দেখেছি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তারা সাক্ষাত করেছেন। জিয়া তাদের বলেছেন- ‘গো-এহেড।’
×