ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এসপির স্ত্রী মিতু জঙ্গীদের জিঘাংসার বলি

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৬ জুন ২০১৬

এসপির স্ত্রী মিতু জঙ্গীদের জিঘাংসার বলি

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাবুল আক্তার, চট্টগ্রামে যার পরিচিতি জঙ্গী ও সন্ত্রাসী ধরার চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে। কেউ কেউ বলে থাকেন সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। গত দুই বছরে তিনি উদ্ঘাটন করেছেন একের পর এক জঙ্গী আস্তানার। বার বার ভেঙ্গে দিয়েছেন জঙ্গীদের নেটওয়ার্ক। তার অভিযানে আটক হয়েছে অনেক জঙ্গী। সদা সক্রিয় ও তৎপর এই অফিসার শেষ পর্যন্ত পেশাদারিত্ব ও কর্মক্ষেত্রে পরম নিষ্ঠতার চড়ামূল্য দিলেন সন্ত্রাসীদের বুলেট ও ছুরিকাঘাতে জীবনসঙ্গী হারানোর মধ্য দিয়ে। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় নিজ বাসার অল্প দূরত্বের মধ্যে সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছোরার আঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। তিনি তখন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই একটি মোটরসাইকেলে তিন সন্ত্রাসী এসে সব শেষ করে দিল। এ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং গত কয়েক বছর ধরে চলমান পরিকল্পিত হত্যাকা-েরই ধারাবাহিকতা মনে করেন বোদ্ধামহল। এমনকি পুলিশের ধারণাও তাই। হত্যাকা-ের পর সিএমপি কমিশনার বলেছেন, জঙ্গীদের হাতে নিহত হয়ে থাকতে পারেন বাবুল আক্তারের স্ত্রী। চট্টগ্রাম নগরীর শেরশাহ্ বাংলাবাজার পূর্বাচল এলাকায় গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যাংটা ফকিরের আস্তানায় ঘটে জোড়া খুনের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ধারালো অস্ত্রে গলা কেটে হত্যা করা হয় ল্যাংটা ফকির নামে পরিচিত ফকির রহমত উল্লাহ (৬০) ও তার খাদেম আবদুল কাদেরকে (৩০)। একই মাসের ২৩ তারিখ রাতে মাঝিরঘাট এলাকায় গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গোলাগুলি করে বড় ধরনের এক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় সন্ত্রাসীরা। সেদিন দুই সন্ত্রাসী মারা যায়। আর শাহ ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সত্য গোপাল ভৌমিক মারা যান ঘটনার দুই দিন পর। নিহত দুই সন্ত্রাসীর নাম তখন জানা না গেলেও পরে জানা যায় তাদের নাম ছিল রফিক ও রবিউল। কিন্তু তারা যে জেএমবি সদস্য ছিল তা তখন বুঝতে পারেনি পুলিশ। পরে বাবুল আক্তারের তদন্তে বেরিয়ে আসে তাদের আসল পরিচয়। জঙ্গীরা এ লুটের ঘটনা ঘটিয়েছিল সংগঠনের ফান্ড গড়ার উদ্দেশ্যে।
×