ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটের দুর্বলতার কারণেই রিজার্ভ চুরি

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ৫ মে ২০১৬

ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটের দুর্বলতার কারণেই রিজার্ভ চুরি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটের দুর্বলতার কারণেই হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে রিজার্ভ চুরি হয়েছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা। জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ডেইলি মেইলসহ কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের প্রধান ও আর্থিক বার্তা সেবা দেয়া আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট প্রতিনিধির সঙ্গে আগামী সপ্তাহে সাক্ষাত করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুইজন উর্ধতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটেরও দায় রয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ মে’র মধ্যে সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন গবর্নর। গবর্নরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আইনজীবী আজমালুল হোসেনও সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ব্যাসেলে কে বা কারা ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফটের প্রতিনিধিত্ব করবেন, তা নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তারা বলেন, রিজার্ভ চুরির দায় নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভকেও নিতে হবে। হ্যাকারদের ৩৫টি আদেশের মধ্যে ৩০টি আটকানো গেলে বাকি ৫টি আটকানো গেল না কেন? একই সঙ্গে সুইফটের দুর্বলতার বিষয়ে তারা বলেন, সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর একটি গোপন প্রক্রিয়া। এটি অনেক বেশি নিরাপদ হওয়া উচিত। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পর সুইফট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুইফটের ট্রানজেকশন প্রক্রিয়ায় এটিই প্রথম আক্রমণ নয়। এর আগেও হ্যাকাররা সুইফটে আক্রমণ করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি বলে উল্লেখ করেছে ডেইলি মেইল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণে নেয়ার মাধ্যমে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়।
×