ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তৃতীয় ওয়ানডে আজ

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

পাকিস্তান-ইংল্যান্ড এগিয়ে যাওয়ার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মরুর দেশ আর আমিরাতে জমে উঠেছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ওয়ানডে লড়াই। টেস্ট সিরিজ খোয়ানোর পর প্রথম ওয়ানডেতেও ব্যর্থ ইংলিশরা। আবুধাবির প্রথম লড়াইয়ে হার ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রতিকূল পরিবেশে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না ইয়ন মরগানের দল। সেটি ভুল প্রমাণ করে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ায় বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড। একই ভেন্যুতে পাকিদের অনেকটা দুরমুশ করে ৯৫ রানের উদ্দীপ্ত এক জয়ে সিরিজে (১-১এ) সমতা ফেরায় ইংলিশরা। আজকের তৃতীয় ওয়ানডেটি তাই দুদলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, এগিয়ে যাওয়ার কঠিন লড়াই। আমিরাত পাকিস্তানের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। এখানে দলটির দাপট সবসময়ই বেশি। মরুর দেশে পাকিস্তান বিশ্বের যেকোন দলের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। এই সিরিজেও সেটি দেখা গেছে। প্রথমে সাদা পোশাকের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় মিসবাহ-উল হক ও এ্যালিস্টার কুকের দল। রান বন্যার প্রথম টেস্ট ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭৮ ও তৃতীয়টিতে ১২৭ রানের বড় জয়ে ২-০তে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। এখানে আসার আগে ঘরের মাটিতে এ্যাশেজ সিরিজে প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারায় কুকবাহিনী। অনেকের ধারণা ছিল এবার উল্টো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে পাকিস্তান। কিন্তু তা হয়নি। যথারীতি সাফল্য তুলে র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পাকিস্তান! ওয়ানডেতে অবশ্য জমেছে লড়াই। মোহাম্মদ ইরফান (৩/৩৫), আনোয়ার আলি (২/৩২) ও শোয়েব মালিকের (২/৪৫) সাঁড়াশি বোলিংয়ের মুখে ২ বল বাকি থাকতে ২১৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ৪৩.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। অল্প রান টপকাতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি (১৩০ বলে ১০২*) উপহার দেন ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। বাবর আজম অপরাজিত ৬২। দ্বিতীয় ম্যাচে বদলে যায় দৃশ্যপট। এ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরি (১০৯) ও জো রুটের হাফ সেঞ্চুরির (৬৩) সৌজন্যে ৫ উইকেটে ২৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাটিংয়ে ভরডুবি হয় পাকিদের। ৪৫.৫ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানে। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাত নম্বরে নামা সরফরাজ আহমেদ। আজ তাই ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং আশা করছেন আজহার। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আগের ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভাল করেছে। তিন শতাধিক রানের স্কোর হওয়ার মতো পিচে তারা প্রতিপক্ষকে ২৮৩-এ থামিয়ে দিতে পেরেছে। এটা অবশ্যই অতিক্রমযোগ্য স্কোর ছিল। কিন্তু চমৎকার ব্যাটিং উইকেটেও ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেনি। সত্যি বলতে, আমরা নিজেদের সামর্থ্যরে প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। টপঅর্ডারে প্রয়োজনীয় জুটি গড়ে ওঠেনি। রান করা যে খুব কঠিন ছিল না সরফরাজ আহমেদ আর আনোয়ার আলি সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে! তবে ওই ম্যাচটি থেকে আমাদের অনেক কিছুই শেখার আছে। যে শিক্ষাটা কাজে লাগিয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়াতে চাই। ১-১এ চলমান সিরিজে আমরা নতুন করে শুরু করব।’ এগিয়ে যেতে চান ইংলিশ অধিনায়ক মরগানও। তিনি বলেন, ‘এই দলটা নিয়ে আমরা ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চমৎকার খেলেছি। সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই। আমাদের কেবল সেরাটা দিতে হবে। সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে।’
×