ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে আদালত থেকে পালিয়েছে হত্যা মামলার আসামি

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৬ মে ২০১৫

শেরপুরে আদালত থেকে পালিয়েছে হত্যা মামলার আসামি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৫ মে ॥ শেরপুরে আদালত থেকে পালিয়েছে চাঞ্চল্যকর এক হত্যা মামলার প্রধান আসামি। সোমবার দুপুরে শেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অঙ্গনে ওই ঘটনা ঘটে। পলাতক আসামি হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ নালিতাবাড়ী সীমান্তবর্তী ধোপাকুড়া তোয়ালকুচি এলাকার আব্দুল মজিদের পুত্র। এ ঘটনায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য শেরপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে আদেশের অনুলিপি দিয়েছেন আইজিপিসহ জেলা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ঘটনাটি আদালত অঙ্গন ছাপিয়ে শেরপুরে ‘টক অব দি টাউন’ হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। জানা যায়, গত ৩১ মার্চ রাত ১০টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার ছাইচাকুড়া এলাকার বাসিন্দা অটোরিক্সাচালক উমর আলী মধুটিলা ইকোপার্ক থেকে নন্নী যাওয়ার পথে পোড়াগাঁও এলাকায় হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ এবং তার সঙ্গী আশরাফ ও সুমন অটোরিক্সা থামাতে বলে। উমর আলী অটোরিক্সা না থামালে হাফিজ ও তার সঙ্গীরা গাড়ি থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে তার মুখে-নাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রেখে অটোরিক্সাটি নিয়ে সটকে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন উমর আলীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে একই রাতে অটোরিক্সাসহ ঘাতক হাফিজকে জনতা পাশের এলাকায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ওই ঘটনায় উমর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে হাফিজসহ তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে ঘাতক হাফিজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। অন্য দুই আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। ওই মামলায় সোমবার ধার্য তারিখ থাকায় জেলহাজত থেকে হাফিজকে আদালতে নিয়ে আসা হলে সে কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়। কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল আজিজ ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রচ- ভিড় আর জনবল সংকটের কারণেই অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। তিনি জানান, ১২ হাজতি আসামিকে মাত্র দু’জন পুলিশ কোর্ট হাজত থেকে নালিতাবাড়ী আমলী আদালতে নেয়ার পথে ওই আসামি ছামাদ নামে অপর আসামির হাতের সঙ্গে লাগানো হাতকড়া কৌশলে খুলে পালিয়েছে। এ বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম বলেন, বিষয়টি শোনার পর থেকেই পলাতক হাফিজকে আটকের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। এছাড়া তদন্তে কারও অবহেলা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×