ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসবিরোধী লড়াই

গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় করবে অস্ট্রেলিয়া ও ইরান

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২১ এপ্রিল ২০১৫

গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় করবে অস্ট্রেলিয়া ও ইরান

অস্ট্রেলিয়া এবং ইরান ইরাকে জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াইরত অস্ট্রেলীয় নাগরিকদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় করতে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ বলেছেন, এই সমঝোতা উভয় দেশকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের মোকাবেলায় সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়া ইরাকে ইরানী সক্রিয় কর্মীদের সংগৃহীত তথ্য জানার সুযোগ পাবে। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। জুলি বিশপ ইরানে তাঁর প্রথম সফরে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠকের পর বক্তব্য রাখছিলেন। প্রায় ১শ’ অস্ট্রেলীয় আইএসের সঙ্গে লড়াই করতে ইরাক ও সিরিয়ায় গেছে। তারা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রতি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় আইএস এবং অন্যান্য চরমপন্থী গোষ্ঠীর সমর্থকদের উপস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সপ্তাহান্তে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথিত হামলা চালানোর চক্রান্ত করার দায়ে পাঁচ তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। বিশপ বলেন, অস্ট্রেলিয়া ২০১৪ সালে ইরানের সঙ্গে কিছু তথ্য ভাগ করে নেয়ার ধারণার প্রতি দৃষ্টি দিতে শুরু করে। গত ডিসেম্বরে ১৭ ঘণ্টাব্যাপী এক অবরোধের ঘটনার প্রশ্নটি আরও জরুরী হয়ে ওঠে। সে সময় ইরানী শরণার্থী ম্যান হারুন মনিস সিডনির একটি ক্যাফেতে ১৮ জনকে জিম্মি করে রেখেছিল। পুলিশ ভবনটিতে অভিযান চালালে দুই জিম্মি টোরি জনসম (৩৪) ও ক্যাটরিনা ডওসন (৩৮) মনিসের সঙ্গে নিহত হয়। কোন পরিচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে মনিসের কোন সংযোগ থাকার কথা জানা যায়নি এবং সে অবরোধ ঘটনার সময় নজরদারির তালিকাতেও ছিল না। বিশপ রবিবার বলেন, ইরানের সঙ্গে এই সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে সুফল নিয়ে আসবে। অস্ট্রেলিয়া আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক বাহিনীর অংশ। জোটে না থাকলেও দেশটি ইরাকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে ব্যাপকভাবে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। মার্চে ইরান সমর্থিত শিয়া মিলিশিয়ারা আইএস জঙ্গীদের কাছ থেকে ইরাকী নগরী তিকরিত পুনর্দখলের একটি বড় ধরনের অভিযান চালাতে ইরাকী সরকারী বাহিনীকে সাহায্য করেছিল। ইরানের বিপ্লবী রক্ষীদের কুদ্্স বাহিনীর জে. কাসেম সোলায়মানীর নেতৃত্বাধীন ইরানী সামরিক উপদেষ্টারা প্রথম দিকে অভিযানের সমন্বয় সাধনে সাহায্য করেছিল। এদিকে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা সামির আব্দ মোহাম্মদ আল-খালিফাবি আইএস গঠনে কৌশলগত প্রধানের ভূমিকা পালন করেছেন। জার্মান সাময়িকী ডার স্পাইগেলের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। আইএসের নীল নকশা নিজ হাতে তৈরি করেছেন তিনি। উত্তরাঞ্চলীয় সিরিয়া দখলের গোপন পরিকল্পনা খতিয়ে দেখেছেন সাবেক এই কর্নেল। এতে নজরদারি, অপহরণ এবং হত্যাকা- চালানোর বিস্তারিত বিবরণ ছিল। হাজি বকর নামেও পরিচিত সামির আবু মোহাম্মদ আল-খালিফাবি অনেক বছর ধরেই গোপনে আইএস পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
×