ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৩ মার্চ ২০১৫

উবাচ

মুখে অহিংস আর কাজে সহিংস স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে একের পর এক বোমা হামলায় শতাধিক মানুষের হতাহতের পরও আন্দোলন নাকি অহিংসই রয়েছে। দেশের বোমাবাজরা ধরা পড়ার পর পরই বিএনপি-জামায়াত নেতাদের নাম বলে দিচ্ছে পটাপট। তারা বলছে, এরাই আমাদের গাড়িতে আগুন দিতে বলেছে এরাই আমাদের পেট্রোলবোমা সাপ্লাই করছে, টাকা দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের হিংসার আগুনে পুড়ছে সারাদেশ। সেখানে অহিংস আন্দোলনে ঢাকা মহানগরসহ সকল স্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল। মুখে অহিংস আর কাজে সহিংস আন্দোলনের নির্দেশ দাতাদের আর জনগণের কাতারে দেখা যায় না। কোথায় আছেন, কিভাবে আছেন, তাও খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেরা মাঠে না নামলেও নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে হবে আর উনাদের কোলে করে নিয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসিয়ে দিতে হবে। গত সোমবার দেয়া এক বিবৃতিতে মির্জা আব্বাস ও হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, ২০ দলের জনসম্পৃক্ত আন্দোলনের ফলে সারাদেশ অচল হয়ে পড়েছে। রাজধানী বিচ্ছিন্ন। তারপরও সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বন্ধুর পথে হাঁটছে। রুবেলের খেলা দেখে আমি হ্যাপি স্টাফ রিপোর্টার ॥ হ্যাপি দুই অক্ষরের ছোট্ট নাম। যার আভিধানিক অর্থ খুশি। বাংলাদেশ দলের অসামান্য নৈপুণ্যে সারাদেশে খুশির বন্যা বইছে। যদিও ফুটবল বিশ্বকাপে অতি আবেগতাড়িত হয়ে আমরা ভিনদেশীদের পতাকা উড়াই। আর নিজের দেশ ক্রিকেট বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলছে কিন্তু পরিমিতি বোধ দেখাচ্ছি। কিন্তু এই পরিমিতি বোধের বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছেন হ্যাপি নামের ঢাকায় ছবির সেই নায়িকা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এক ক্ষিপ্রগতির বোলার রুবেলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কারণে দেশে সাম্প্রতিককালে সব থেকে বেশি উচ্চারিত হয়েছে হ্যাপি নামটি। বাংলাদেশ দলের খেলা দেখেছেন আর রুবেলের বোলিং এ্যাকশনে তছনছ ইংল্যান্ডের অবস্থা দেখে একবারও হ্যাপির নাম উচ্চরণ করেননি এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিশ্বকাপ যখন দোরগোড়ায়, তখন রুবেলকে ঠেকাতে হ্যাপি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে ঘুরেছেন। যেন কোনভাবেই রুবেল বিশ্বকাপ খেলতে না পারে। অন্তত প্লেনের দুয়ার থেকেও যেন তাকে টেনে নামানো যায়, সেই চেষ্টা নিরন্তর করে গেছেন এই হ্যাপি। কিন্তু গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেল যখন জ্বলে উঠেছেন তখন হ্যাপির আবার সেই ভাললাগা উথলে উঠল। নিজেই বিভিন্ন অনলাইন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়ে বললেন- রুবেলের খেলা দেখে আমি হ্যাপি হয়ে যাই। ১/১১ ত্রাণকর্তা মাহফুজুল্লাহ স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেলিভিশনের সব থেকে সস্তা অনুষ্ঠান এখনও পর্যন্ত টকশো। এখানের উপস্থাপক উপস্থাপিকা এমনকি পাত্র-পাত্রীদের পারিশ্রমিক আহামরি কিছু নয়। রূপালী জগতের স্টারদের ধারে কাছেও ভিড়তে পারছেন না এরা। এরপরও কারও কারও আয়করের ফাইলে দেখা যায় টকশোই নাকি আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু মুখে এরা বলেন, ‘কোথায় যাব কী করব আমি তো দেশছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবতে শিখিনি বলতেও শিখিনি।’ সঙ্গতকারণে দেশের স্বার্থে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্য রাত অবধি এ ঘর থেকে ও ঘর, ও ঘর থেকে সে ঘরে ঘুরে-ঘুরে এরা দেশের কথা বলেন। কথা বলতে বলতে হুঁশ-জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কী বলছেন না বলছেন, তা আবার টেনে শুনালে তিনি নিজেই বিব্রত হন। যেমন সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজুল্লাহ সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনে বলেই বসেছেন ১/১১ তে তিনিই উভয় দলের ত্রাণকর্তা হিসেবে টেলিভিশন টকশোতে বক্তব্য রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে দিলে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়ে কী করবে? টকশোতে আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার হচ্ছে। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তাদের বিচার করা হবে। এর উত্তরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এমন অনেক কথাই বলে- আগে করে আসুন।
×