ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বের প্রবীণতম স্কুলছাত্রী ৯০ বছরের প্রিসিলা

প্রকাশিত: ০২:৩০, ২৬ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বের প্রবীণতম স্কুলছাত্রী ৯০ বছরের প্রিসিলা

প্রিসিলা সিটিনেইকে সহপাঠীরা ডাকে গোগো’ বলে। গোগো শব্দের অর্থ দাদি। ৯০ বছর বয়সে এসে জীবনে প্রথমবারের মতো স্কুলে ভর্তি হয়েছেন কেনিয়ার প্রিসিলা। রিফ্ট ভ্যালির দালাত গ্রামের লিডার্স ভিশন প্রিপারেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, প্রিসিলাই বিশ্বের প্রবীণতম স্কুলছাত্রী। প্রিসিলা ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি শুধু লিখতে এবং পড়তে শিখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞই নন; রীতিমতো স্কুল-পোশাক পরে ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন। এমনকি অংশ নিচ্ছেন নাচের এবং শারীরিক শিক্ষার ক্লাসেও। ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শ্রেণীকক্ষে গিয়ে বিবিসি সংবাদদাতা দেখতে পান, আকাশি রঙের শার্ট, লাল টাই আর সবুজ শোয়েটার পরে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস করছেন প্রিসিলা। শুধু শিক্ষকরাই নন, সহপাঠী ও অন্যান্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও গোগোকে নিয়ে গর্বিত। এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের তালিকায় গোগোর নাতি-নাতনিদের সাত সন্তানও রয়েছে। গোগো বলেন, আমি বিশ্বের শিশুদের বলতে চাই, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বলতে চাই যে শিক্ষাই তোমাদের সম্পদ। এটা অর্জন করার জন্য পেছনে ফিরে তাকিও না। স্থানীয় কালেনিজ ভাষায় প্রিসিলা বলেন, আমি বাইবেল পড়া শিখতে এবং যেসব শিশু লেখাপড়া শিখতে চায় তাদের অনুপ্রাণিত করতে স্কুলে ভর্তি হয়েছি। তিনি ৬৫ বছর ধরে দালাত গ্রামে ধাত্রীর কাজ করেছেন। তিনি আরও জানান, ধাত্রীর কাজ সম্পর্কে তার যে অভিজ্ঞতা আছে তা অন্যকে জানাতে এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে তার জ্ঞান লিখে রাখতে তিনি লেখাপড়া শিখতে চান। গিনেস বুক অব রেকর্ডসে সবচেয়ে প্রবীণ শিক্ষার্থী হিসেবে অপর এক কেনীয় কিমানি মারুগের নাম আছে। তিনি ২০০৪ সালে ৮৪ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। এর পাঁচ বছর পর তিনি মারা যান। প্রিসিলার স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা তাদের ৯০ বছর বয়সী এই ছাত্রী সম্পর্কে গিনেস বুক অব রেকর্ডসকে জানাবে। - বিবিসি।
×