ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনছেন সালথার পাটচাষিরা

মোঃ মামুন মিয়া, সালথা, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৫:২২, ৩১ জুলাই ২০২৫

সোনালি আঁশে স্বপ্ন বুনছেন সালথার পাটচাষিরা

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ।

ফরিদপুরের সালথায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাঁরা নদী-নালা ও খাল-বিলে পাট পঁচিয়ে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। তবে পানি কম থাকায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। তাছাড়া পাট চাষে খরচও বেড়ে গেছে। তারপরও সোনালী আঁশের আশায় তাঁদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, এই উপজেলার মানুষের আয়ের প্রধান দুটি অর্থকরী ফসল হলো পাট ও পেঁয়াজ। অধিকাংশ মানুষই এই দুই ফসল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এ বছর এই উপজেলায় ১৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে চলছে পাট কাটার এবং আঁশ ছাড়ানোর মৌসুম। তবে এবছর পাট উৎপাদনে কৃষকদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শুরু থেকেই ছিল না তেমন বৃষ্টি। ফলে সেচের মাধ্যমে পাট গাছ বড় করতে হয়েছে। পাট কর্তনের সময়েও পানির সংকট ছিল। অল্প কয়েকদিন আগে নদী-নালা ও খাল-বিলে কিছু পানি এসেছে। সেই পানিতেই চাষিরা পাট পঁচিয়ে আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন।

উপজেলার পাটচাষি আবু মোল্যা ও সিরাজ মোল্যা বলেন, “পাট কাটার সময় জমিতে পানি কম ছিল। তাই পাট কেটে যানবাহনে করে খাল ও নদীতে নিয়ে জাগ দিতে হয়েছে। আবার কিছু পুকুরে পানি দিয়ে জাগ দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ বেড়ে গেছে। তাই আমরা পাটের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন বলেন, “শুরুর দিকে বৃষ্টি না থাকায় চাষিদের সেচ দিতে হয়েছে বেশি। আবার পাট কাটার সময় জমিতে পানি ছিল না, তাই পাট কেটে অন্যত্র নিয়ে জাগ দিতে হয়েছে। এসব কারণে খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। বর্তমানে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুদর্শন শিকদার বলেন, “এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। চাষের শুরু থেকেই কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পাট কর্তন ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় সালথায় এবছর পাটের ফলন খুব বেশি ভালো হয়নি।”

মিরাজ খান

×