
শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানিয়েছেন, দেশের শহীদদের কবর সংরক্ষণে সারা দেশেই বাধ্যতামূলক পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে। একইসঙ্গে গণভবনকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরের কাজও এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, গণভবনকে মিউজিয়াম করা। ফ্যাসিবাদের পতনের পুরো ঘটনাটাই পনেরো-সাড়ে পনেরো বছরের। সেটাকে সামনে রেখে আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।”তিনি আরো বলেন, “জুলাই শহীদদের স্মরণে, তাদের যে সংগ্রাম ছিল বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সেই কাজ যেন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা চেষ্টা করছি।”রবিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের নিচতলায় নবনির্মিত জুলাই শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গণপূর্ত উপদেষ্টা একনেকের সাম্প্রতিক ‘৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প’ পাস না হওয়া প্রসঙ্গে আদিলুর রহমান খান বলেন, “একনেকের সদস্য হিসেবে আমি অবগত। প্রকল্পটি আজ ফেরত দিয়ে দিয়েছি, পাস করিনি, কারণ এর মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি আমরা পেয়েছি। আমরা এটিকে পুনরায় রিভিউ করবো এবং এ বিষয়ে কিছু তদন্তেরও প্রয়োজন আছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জুলাই ট্র্যাজেডির বিচার প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, “গত এক বছরে বিচারিক কাজ যতটুকু এগোনোর কথা ছিল, হয়তো পুরোপুরি তা হয়নি, তবে অগ্রগতি হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আমরা চার্জশিট দিয়েছি। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য সাধারণ মামলাগুলোর ক্ষেত্রেও চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, চার্জশিট প্রক্রিয়ায় একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে আসামির অতিরিক্ত সংখ্যা। অনেক ক্ষেত্রে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরও আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।“একটা ঘটনায় যেখানে ২০ জন আসামি হওয়ার কথা, সেখানে ২০০ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এতে তদন্ত প্রক্রিয়ায় সময় বেশি লাগছে,”বলেন উপদেষ্টা।
তবে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে সরকার সক্রিয় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যাতে অল্প সময়ের মধ্যেই তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা যায়, সেই বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”আয়োজনটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার প্রমুখ। উদ্বোধন পর্বে স্মৃতিস্তম্ভে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জুলাই ট্র্যাজেডি শহীদ পরিবারের সদস্যবর্গ।
আফরোজা