ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

বাউফলে আমন বীজতলা পানির নিচে: দুশ্চিন্তায় চাষীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৬ জুলাই ২০২৫

বাউফলে আমন বীজতলা পানির নিচে: দুশ্চিন্তায় চাষীরা

গত কয়েকদিনের টানা ও ভারী বর্ষণে এবং জোয়ারের পানিতে আমনের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। 

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে  উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭শ ১২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাষীরা এ মৌসুমে ১২শ ২ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা করেছিল।  

গত কয়েক দিনের বিরামহীন ভারী বর্ষণে ও জোয়ার পানিতে ৫৬১হেক্টর জমির অধুকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতির মুখে পড়েন প্রান্তিক চাষীরা। 

কয়েক জনআমন চাষীরা জানান, ১৫দিনের টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বীজতলা ডুবে যায়। বিরামহীন বর্ষণের কারণে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে ধানের বীজের গোড়া পচে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। বীজনষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন তারা।  

তবে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে বীজতলা প্রস্তুত শুরু করেছেন তারা।

চাষীরা বলছেন, আষাঢ়-শ্রবাণ মাসে আমন চারা রোপন করার কথা। শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে এসেও বীজই রেডি করতে পারিনি। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হচ্ছে। 

চর কালাইয়া গ্রামের চাষী ওলিউল্লাহ বলেন,  দুই বার বীজ লাগাইছি। দুইবারই পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে বীজতলা করা শুরু করছি। 

আরেক চাষী খোকন প্যাদা বলেন,  দুই মণ ধানেন বীজ করছি। সব পচে গেছে। এহন আর বীজধান নেই। সরকার বীজের ব্যবস্থা না করে দিলে জমি অনাবাদী থাকবে। 

দাশপাড়া গ্রামের চাষী জাকির বলেন, প্রতিবছর এই দিনে চারা রোপন করি। এ বছর বীজেরই খবর নাই। দুই বার বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজতলা সাজাইছি।  

কেশবপুর গ্রামের  কৃষক মো. সোহরাব গাজী বলেন, সব জমি তলিয়ে আছে। ১০ একর জমির  বীজ করছি, সব পচে গেছে। এহন মাথায় হাত। এমন অনেকের বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজ করমু, তাও সুযোগ নাই। জোয়ারের পানিতে সব তলিয়ে গেছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, ভারীবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে যাতে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের সহায়তায় আওতায় আনা হবে।

চাষীদের পরামর্শ দিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, উচু জমিতে বীজতলা করতে হবে। আর যে সব বীজতলায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে সে সব বীজতলা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

 

রাজু

×