
নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে কুয়াকাটা সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুরে অস্বাভাবিক জোয়ারে সৃষ্ট জালোচ্ছ্বাস দীর্ঘ সময় ধরে সৈকত লাগোয়া শোরলাইনে ধ্বংসের তান্ডব চালায়। উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে আগেই অনেকটা বিধ্বস্তদশার নির্মানাধীন সড়কটি তছনছ করে দেয়। সৈকতের শুন্যপয়েন্ট থেকে দুইদিকের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে এখন শুধু ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে। কংক্রিটের ভগ্নাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। রাতের জোয়ারে ফের হানা দেবে সাগরের ঢেউ এমন আশঙ্কায় সৈকত লাগোয়া দোকানিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ভাঙনের তান্ডব দেখে কুয়াকাটার ব্যবসায়ী, লগ্নিকারকসহ সেখানকার সকল শ্রেণিপেশার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
সৈকত লাগোয়া মসজিদ, মন্দির, ট্যুরিজম পার্কসহ ছোট বড় স্থাপনার মালিকরা আজকের সাগরের উম্মাদনায় চরম উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন। তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। একদিকে কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন রোধে এবছর জরুরি কোন প্রটেকশন দেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তার উপরে ভাঙনরোধে সৈকত রক্ষায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্প ঝুলে আছে অনিশ্চয়তায়। প্রায় দুই যুগ ধরে মুখ থুবড়ে আছে। ফলে এখানকার লগ্নিকারকরাও চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এদিকে ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে আগামিকাল, ২৬ জুলাই শনিবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীসহ কুয়াকাটার সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। পর্যটন ও পরিবেশ উন্নয়ন কর্মী কেএম বাচ্চু বলেছেন, ‘আজকের কুয়াকাটার ভাঙন দেখে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’ কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি ও ট্যুর অপারেটর আ্যসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘এই মুহুর্তে দেশের স্বার্থে, জাতীয় স্বার্থে তথা কুয়াকাটার স্বার্থে জরুরি প্রটেকশনসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়াস্থ নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র বলেছে, ‘জোয়ারের ঢেউয়ে কুয়াকাটা সৈকতের শোরলাইনের ক্ষতি হয়েছে।’
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ইয়াসীন সাদেক জানান, তিনি কুয়াকাটা পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করার কথা জানালেন।
রাজু