
মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হচ্ছে
ঢাকার উত্তরায় ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ট্রেনিং বিমান আচরে পড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার ভয়াবহ ঘটনায় শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ডিএম খালী গ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ তিন কৃতি সন্তান চিরবিদায় নিয়েছেন। নিহতরা হলো ডি এম খালী মাঝি কান্দি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মাঝির ছেলে আব্দুল্লাহ সামীম (১২)। সে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অপর দুইজন সখিপুরের কৃতি সন্তান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও তার ছোট মেয়ে। দেলোয়ার হোসেনের ছোট মেয়ে ওই স্কুলের একজন শিক্ষার্থী ছিল। তবে সে কোন শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন সেটা জানা যায় নাই। এ ঘটনায় পুরো সখিপুর জুড়ে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান আব্দুল্লাহ ছামীম দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এছাড়া বিমান দুঘর্টনার সময় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ও তার কন্যা। সখিপুরের ডিএম খালীতে চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আব্দুল্লাহ ছামীর নামাজে জানাজা হবে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় উপজেলার ডি এম খালীসহ পুরো শরীয়তপুরে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। পরিবারগুলোতে চলছে আহাজারি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ছামীম ছিল শান্ত স্বভাবের, মেধাবী ও ভদ্র ছাত্র। তার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। অথচ আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল তার সেই স্বপ্ন। সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওবায়দুল হক বলেন, আমরা এরকম তিন জনের মৃত্যুর কথা শুনেছি। এখনো পুরো হিসেব পাই নাই।
তাসমিম