
ছবি: জনকণ্ঠ
পঞ্চগড় সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালানোর নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ এক ভুয়া পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (১২ জুলাই) রাত ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী। তিনি জানান, আটককৃত আসল পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তার সাথে আটক শরিফুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক হওয়া কনস্টেবল মিজানুর রহমান (২৬) দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বৈদ্যনাথপুর এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি নিজেকে পুলিশের এসআই পরিচয় দেন। তার সঙ্গে থাকা শরিফুল ইসলাম (৩০) নামে আরেকজন নিজেকে ডিবি পুলিশের কনস্টেবল দাবি করেন। শরিফুলের বাড়ি সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের পেলকুজোত এলাকায়।
স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, শনিবার রাতে বলেয়াপাড়া গ্রামে তিনজন কিশোর রাস্তার পাশে বসে মোবাইল ব্যবহার করছিল। এ সময় মিজানুর ও শরিফুল এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে কিশোরদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ তোলে এবং ১ লাখ টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে এক কিশোরকে হাতকড়া পরিয়ে নেয় তারা।
কিশোরের চিৎকারে তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই জনকে আটক করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা এসে অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে যায়।
শহীদ