
৬০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর
ঢাকার ধামরাইয়ে সুতিপাড়া ইউনিয়নের বাথুলী-মহিশাষী সড়কের বেলিশ্বর এলাকায় তিন বছরেও শেষ হয়নি ২৫ মিটার দৈর্ঘের একটি সেতুর নির্মাণ কাজ। এতে ভোগান্তি হচ্ছে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী, পথচারী, শ্রমজীবী মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করে।
২০২২ সালের জুনে প্রায় আড়াই কোটি টাকায় কাজ শুরু করে প্রথম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিরাপদ এন্টারপ্রাইজ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, মাত্র ২০ শতাংশ কাজ করেই তারা চলে যায়। এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নতুন করে মেসার্স প্রিন্স এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর দুই পাশের ভিত্তির কাজ শেষ হলেও মাঝের অংশের কাজ বাকি। পাশে অস্থায়ী একটি ডাইভিশন সড়ক তৈরি করা হয়েছে, যা বৃষ্টির সময় কাদা ও রোদের সময় ধুলাবালিতে নাকাল করে চলাচলকারী মানুষজনকে।
বাথুলির লিপি আক্তার বলেন, এই রাস্তাটা খুবই খারাপ। বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যাই আসি। খুব ঝুঁকিতে চলাচল করি। বৃষ্টির সময় কাদা, রোদের সময় ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় অটোরিক্সা-ভ্যান উল্টে যায়।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে। কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক দুর্ভোগের মধ্যে আছি। বৃষ্টি হলেও জ্বালা, রোদ উঠলেও ধুলাবালিতে কিছু দেখা যায় না।
ভ্যানচালক ইশারত আলী বলেন, তিন বছর যাবৎ সেতু নির্মাণ কাজটি চলছে। বৃষ্টি নামলে হাঁটা যায় না। রোদ উঠলে ধুলার কারণে চলাচল করা যায় না। বেশি মালামাল নিয়ে চলতে পারি না।
অটোরিক্সাচালক রাজীব বলেন, কিছুদিন কাজ চলে, আবার বন্ধ। বৃষ্টির সময় গাড়ি চালাতে পারি না। সরকারের কাছে আবেদন সেতুটি দ্রুত শেষ করে দিক। এলজিইডির ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলাম বলেন, সেতুটি আগে একবার টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু ঠিকাদার কাজ শেষ না করায় তা বাতিল করা হয়। নতুন ঠিকাদার কাজ করছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার চুক্তি রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।