ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

আ.লীগ কার্যালয়ের ধ্বংসস্তূপে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১০ জুলাই ২০২৫

আ.লীগ কার্যালয়ের ধ্বংসস্তূপে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’

ছবি: জনকণ্ঠ

ফরিদপুর শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের আগুনে পুড়ে যাওয়া পুরাতন কার্যালয়টির ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’। সরকারি উদ্যোগে গণপূর্ত বিভাগ বুধবার (৯ জুলাই) থেকে এই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

ফরিদপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান জনকণ্ঠকে জানান, “সারা দেশে একযোগে অভিন্ন বাজেটে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণ করা হচ্ছে। ফরিদপুরেও আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।” বরাদ্দসংক্রান্ত  ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হাসিবুল হাসান লাবলু সড়কের উত্তর পাশে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পুরনো কাঠামো ভেঙে ফেলছেন নির্মাণ শ্রমিকরা । কাজের তদারকিতে রয়েছেন ঠিকাদার সোহান আল মামুন, যিনি জানান, “আজ থেকেই নির্মাণকাজের প্রাথমিক ধাপ শুরু করেছি। গণপূর্ত বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করছি।”

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই জমিটির মালিক জেলা প্রশাসন। ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ২৬ শতাংশ জমি শেখ রাসেল ফাউন্ডেশনের নামে একশনা বন্দোবস্তে ইজারা নেওয়া হয়। এরপর এটি ‘শেখ রাসেল স্কয়ার’ নামে পরিচিতি পায়। শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সেখানে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের পাশাপাশি দলীয় কার্যালয় নির্মাণ করা হয়। কার্যালয়টি ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাজী জাফরউল্লাহ ও আব্দুর রহমান।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ‘জুলাই আন্দোলনের’ প্রেক্ষাপটে বিক্ষুব্ধ জনতা কার্যালয়টিতে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরদিন ৫ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় এই স্থানটি ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, “দেশব্যাপী সরকারি উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মিত হচ্ছে। ৭ জুলাই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ আমরা কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করি। নিরাপত্তা ও প্রাসঙ্গিক দিক বিবেচনায় ধ্বংস হওয়া আ.লীগ কার্যালয়ের স্থানটিকেই উপযুক্ত বিবেচনা করা হয়।”

তিনি আরও জানান, “নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে’ শহীদদের স্মরণে এখানে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হবে।”

সায়মা ইসলাম

আরো পড়ুন  

×