ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

চাঞ্চল্যকর পারভেজ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার 

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ৮ জুলাই ২০২৫

চাঞ্চল্যকর পারভেজ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেফতার 

ছবি: সংগৃহীত।

গত ০৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ বিকেল আনুমানিক ০৫.০০ ঘটিকার সময় রূপগঞ্জ থানাধীন ভুলতা ইউনিয়নের আমলাব সাকিনস্থ জনৈক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বাড়ির ষষ্ঠ তলায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা পারভেজ হাসান(৩৫) কে ধারালো অস্ত্র দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অতঃপর ভিকটিম পারভেজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০৪ জুলাই সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। ভিকটিমের বড় ভাই ঝন্টু সরদার ০৫ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।

মামলা রুজুর পর তদন্তকারী অফিসার এসআই(নিঃ) বিষ্ণু পদ দাস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে থাকেন। অতঃপর 'সি' সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মেহেদী ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে এবং রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ তরিকুল ইসলাম এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) বিষ্ণু পদ দাস জানতে পারেন যে, ভিকটিম পারভেজ হাসান ও তার রুমমেট মেহেদী হাসান ইমন সমকামী ছিল। পরবর্তীতে এই দুই জনের সাথে সমকামীতে যুক্ত হয় ডাঃ আরমান। এই সমকামিতা নিয়ে তিনজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান ইমন ধারালো ফল কাটার চাকু দিয়ে ভিকটিম পারভেজ হাসানকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে হত্যা করে। 

আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর(ইন্টেলিজেন্স) মোঃ সালাউদ্দিন, এসআই রোকনসহ একটি আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে ০৬ জুলাই ২০২৫ খ্রিঃ বিকাল ০৫ ঘটিকায় আসামি মেহেদী হাসান ইমন ও দিবাগত রাত ০২.১৫ ঘটিকায় রূপগঞ্জের বরাবো এলাকা থেকে আসামি  ডা: আরমানকে গ্রেফতার করে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি মেহেদী হাসান ইমন নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

সায়মা ইসলাম

×