
১৮৭৮ সালে তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে চাঁদপুর মহকুমা গঠিত হয়। রেলওয়ে বিভাগের সাহেবদের আনাগোনা, ২২টি বিখ্যাত পাট কোম্পানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ইত্যাদি কারণে মেঘনা-ডাকাতিয়ার মোহনার উভয় প্রান্তে চাঁদপুর লোকালয়ে তারা একটি পৌরসভা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে মহকুমা স্থাপনের ১৮ বছর পর ও আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের শাখা লাইনটি স্থাপনের ১১ বছর পর সরকারি আদেশে ১৮৯৬ সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর প্রথমে (গ) শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরে অবশ্য এটি (ক) শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই সেবার দিক দিয়ে এই পৌরসভার রয়েছে প্রচুর সুনাম। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেবার মান ধরে রাখতে পারেনি শত বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠানটি।
সারা বিশ্ব তথা দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে, সেই সাথে তাল মিলিয়ে চাঁদপুর পৌরসভার বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হয়ে থাকলেও এ অবস্থায় এসে চাঁদপুর পৌরবাসীর কষ্ট লাগবে তেমন একটা পদক্ষেপ নিতে পারছেন না পৌর কর্তৃপক্ষ। তাই প্রথম শ্রেণীর এই পৌরসভার রাস্তাঘাট নিয়ে পৌরবাসীর দুঃখ-দুর্দশার বিষয়ে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম দৈনিক জনকণ্ঠ এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
৫ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী চাঁদপুর পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় ঘুরে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র আবুলের দোকান থেকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ গেট পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ১৪ থেকে ১৫ বছর ধরে মেরামত না করায় এক প্রকার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজে আসা-যাওয়া করে কিন্তু এই সড়কটি বেহাল দসার কারণে তাদের চলাফেরায় খুব সমস্যা হচ্ছে। এমতাবস্থায় আবুলের দোকান হয়ে কলেজ গেট পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করার জন্য পৌর প্রশাসকের নিকট জোর দাবি তাদের।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই সড়কটি সরকার কয়েক বছর আগে করলেও ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় সড়কে পানি জমে রাস্তার এই বেহাল দশার কারনে আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। এক বস্তা চাল যে বাড়িতে নেব, সে উপায়ও নাই। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর বাংলাদেশের সড়ক পথের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত ও ভারসাম্যহীন নগরায়ণ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ক্রমেই দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে।
স্থানীয় লন্ড্রি ব্যবসায়ী রাখাল চন্দ্র দে, ফার্নিচার ব্যবসায়ী হাশমত উল্লাহ, মুদি দোকানি আমির হোসেন খান বলেন, বহুবছর হয়েছে আমাদের নাজির পাড়ার রাস্তাটি অজ্ঞাত কারণেই সংস্কার হচ্ছে না রাস্তাটিতে বৃষ্টির পানি জমে যানবাহন চলাচলের কারণে ছোট বড় গর্ত হয়ে বড় বড় থালায় পরিণত হয়েছে এমন অবস্থায় মানুষ চলাচল করতে পারছে না, তাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঁটা লেগেছে এখন আমাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। অতিসত্বর এই রাস্তা পৌরসভা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার জোরদাবী তাদের।স্কুল ছাত্র নাজমুল হোসাইন বলেন, আমাদের বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে বড় বড় গর্ত এবং ড্রেনের উপর ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকার কারণে আমরা এই রাস্তা দিয়ে ভয়ে চলাফেরা না করে অন্য রাস্তায় দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
এদিকে শহরের আরেকটি প্রাণকেন্দ্র পীর বাদশা মিয়া রোড মমিন পাড়া হতে বড় স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটিও ভাঙ্গাচুরা ও বড় বড় গর্তের কারণে চলাফেরায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এখানে সর্দার খান প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি স্কুল রয়েছে সে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে ভীষণ কষ্ট হয়। সরজমিন দেখা যায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জুতা /স্যান্ডেল হাতে নিয়ে এই ময়লা পানি পেরিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে, অনেকে আবার পা পিছলে পড়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে এবং স্কুল ড্রেস ভিজে গিয়ে তাদের এক প্রকার দুরবস্থা মধ্যেই লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
ঐ এলাকার মুদি দোকানি আমির হোসেন জানান গত দুই তিন বছর আগে পৌরসভার মেয়র কর্তৃক এ রাস্তার সংস্কার করা হয়েছিল তারপর এখন রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি জমে নানান জায়গায় গর্তে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় স্থানীয় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই যত দ্রুত সম্ভব একটি পূন সংস্কার করার জন্য পৌর প্রশাসকের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
এদিকে ট্রাকরোডটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছেঃ চাঁদপুর শহরের মস্তান বাড়ির সামনে থেকে ট্র্যাক ঘাট পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির সৃষ্ট গর্তে মালবাহী কত গাড়ি পড়েছে তার কোন হিসাব কেউ দিতে পারবে না। গাড়িতে চলা তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাও অনেক কষ্টকর। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।বিআইডব্লিউটিএ মোড় থেকে মস্তান বাড়ি এলাকার মাথা পর্যন্ত এ সড়কটির পিচ ঢালাই দিন দিন নষ্ট হয়ে যেনো কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। ইটের সুরকি আর বালি-মাটি মিশে কর্দমাক্ত পরিবেশ। সড়কের বিভিন্নজায়গায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। এসব গর্তেরকারণে গাড়ি চলে হেলে-দুলে। কিছু স্থানে গাড়ি থেকে নেমে পার হতে হয় যাত্রীদের। হাঁটতে গেলেও গায়ে লাগে কাদা পানি। আর শুষ্ক মৌসুমে থাকে ধূলোবালিময় সড়ক। চলতি বর্ষা মৌসুমে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে সড়কেরএসব গর্তে পানি জমে থাকায় বোঝার উপায় নেই গর্তেরগভীরতা কেমন এবং কোথায় কোথায় গর্ত আছে। এতে এপথে চলাচলকারী যানবাহনের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনিচালকসহ পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। ছোট ছোটশিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের তো সীমা নেই বললেই চলে। সরেজমিন দেখা যায়, গর্তে গাড়ি পড়ে হেলে যাওয়ারদৃশ্য। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। ভুক্তভোগীরা যথাযথকর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন।
সড়কটিতে রয়েছে আল আমিন মডেল মাদ্রাসা, ১৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নৌ-পলিশ সুপারের কার্যালয়, বিআইডব্লিউটি এ অফিস, ট্রাক ঘাট, সিএসডি গোডাউন, শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াতের অন্যতম সড়ক এটি। এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও কার্যলয়ে চলাচলকারীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখে পড়েন। জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যাতায়াত করলেও সড়কটির দিকে তাকাবার কেউ যেন কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন দাস, রিপন খান, মারুফ হোসেন, হাবিব গাজী, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন জানান, এ সড়ক দিয়ে বেশিরভাগ সময়েই ভারী যানবাহন তথা ট্রাক, ট্রাক্টর, লড়ি, সিএনজি, রিক্সা, অটোরিক্সা, চলাচল করে। ফলে খানাখন্দে ভরা ভাঙ্গা সড়কে বড় বড় গর্ত এমন ভাবে সৃষ্টি হয়েছে যা দেখে মনে হয় গর্তগুলো একেকটি একটি পুকুর।
একাধিক পথচারী ক্ষোভের সাথে বলেন, মনে হয় দেশে সরকার নেই। এ সড়কে চলাচল একইবারের অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও এ সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূঘর্টনা। নতুন বাজার ট্রাক ঘাট হওয়ার কারনে এ রাস্তা দিয়ে প্রতি নিয়ত ভারি মালবাহী ট্রাক ও তেলের ভাউচার চলাচলের করে। নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় অল্প দিনেই রাস্তায় গর্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল খান, গোবিন্দ সাহা, আলী আহম্মদ, দিপক সাহা সহ কয়েকজন ব্যববসায়ী জানান, বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো ভরাট হয়ে গেলে যানবাহনের কারনে ময়লা পানি দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে এবং কয়েকটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সামনের স্থাপনা নদীর ঢেউয়ের মত আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলছে। এ সমস্যার কারনে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।
চাঁদপুর পৌরসভার ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর আয়শা রহমান জানান, সড়কটির কথা অনেক বার আমাদের পৌরসভার মাসিক উন্নয়ন সভায় উপস্থাপন করেছি। চলতি বছরের জানুয়ারীতে সড়কটির কাজ শুরু হয়োর কথা ছিলো, কিন্তু এখনো শুরু হয়নি। কি কারণে কাজ শুরু হয়নি তা আমি অবগত নই।
চাঁদপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল শোয়েবুর রহমান শোয়েব বলেন, মস্তান বাড়ির সামনে থেকে ট্রাক-ঘাট পর্যন্ত সড়কের কাজের বিষয় আমি তেমন কিছু জানি না। তবে যেটুকু জানি এটি ট্রেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
এদিকে শহরের আরেকটি প্রাণকেন্দ্র প্রতাপ সাহা রোড নতুন আলিমপাড়া সংযোগ সড়ক হয়ে মিশন রোডের মাথা পর্যন্ত এলাকাবাসী ও পথচারীদের চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত ২০-২৫ বছর ধরে এই রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীগন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস ও কিছু এলাকাবাসীর সীমানা নিয়ে বিরোধ এবং আদালতে মামলা থাকায় এই রাস্তাটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।
গত কয়েক বছর আগে সাবেক পৌর মেয়র নাসির উদ্দিন আহমেদ ও জিল্লুর রহমান জুয়েল আপ্রাণ চেষ্টা করেও এই সড়কটি সংস্কার করতে ব্যর্থ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আবহাওয়া অফিস এবং চার পাঁচজন স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাচলাকালীন সময় ১৫ টি বছর কেটে যায় এই রাস্তাটি সংস্কার ব্যতি রেখে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেহেতু মামলায় আমরা হেরে গেছি তাই এখন আবহাওয়া অফিস এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তার সীমানা পূর্ণ নির্ধারণ করে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বিশিষ্ট ঠিকাদার সরকার গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রতাপ সাহা রোড নতুন আলিমপাড়া এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারী চলাচল করে, এই সড়কে বৃষ্টির পানি জমে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে পুরো সড়কটিতে পানি জমে যানবাহন চলাচলের কারণে ছোট বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখন যেহেতু মামলার রায় আবহাওয়া অফিসের পক্ষে গিয়েছে আমি মনে করি বর্তমান রাস্তার নিচে দিয়ে যেহেতু এলাকাবাসীর গ্যাসের লাইন পানির লাইন রয়েছে তাই আবহাওয়া অফিসের উচিত হবে এই লাইনগুলির একটা ব্যবস্থা করে যেন তাদের জায়গা পূর্ণ নির্ধারণ এবং এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তাটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
এ বিষয়ে জেলা আবাহাওয়া বিষয়ক কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শোয়েব বলেন,স্থানীয় বাসিন্দা এবং আবহাওয়া অফিসের মধ্যে সীমানা জটিলতার কারণে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা ২০২২ সালে আবাহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষে আসে, এরই মধ্যে ২০২১ সালে আমরা গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সীমানা প্রাচীর করার জন্য ২৮ লাখ বরাদ্দ পাই, পরে অজ্ঞাত কারণে তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনির হস্তক্ষেপে তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন যেহেতু আমরা রায় পেয়েছি এজন্য আমাদের জায়গা বুঝে সীমানার প্রাচীর করার কথা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছি। এ ব্যাপারে তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর জেলা প্রশাসক, পৌর প্রশাসক এবং এলাকাবাসী বসে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারলেই এ জটিল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন,পৌর প্রশাসক হিসেবে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌর বাসির চলাচলের সুবিধার্থে পৌরসভার নিজস্ব ফান্ড না থাকা সত্ত্বেও প্রধান প্রধান সড়ক গুলি মেরামতের ব্যবস্থা করেছি। শহরের প্রতিটি মহল্লার সড়কগুলি সংস্কারের জন্য দুইটি প্রকল্পের মধ্যে একটি এসেছে, আর একটি আসলেই বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করা হবে। নতুন আলিম পাড়া প্রতাপসাহা রোডের ব্যপারে তিনি বলেন, সরকারি সম্পতি রক্ষা এবং জনগনের চলাচলের রাস্তার ব্যবস্থা করতে আবাহাওয়া অফিস উদ্যোগ নিলে আমরা অবশ্যই উভয়পক্ষের সাথে বসে সমস্যার সমাধান করে দিবো।
রাজু