ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, তালতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৬, ৭ জুলাই ২০২৫

৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক মাত্র ৪

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে

চরম জনবল-সংকটে থেমে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় বরগুনার তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার শেষ আস্থা ও ভরসারস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাত্র ৪ জন চিকিৎসক দিয়েই চলছে। ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে এই হাসপাতালে। সংকট রয়েছে অন্যান্য পদেও। হয় না কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে হাসপাতালটি ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় ২০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এরপর ২০১৮ সাল থেকে ৭ জন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্স নিয়ে চিকিৎসা সেবা চালু হয়। পরে ২০২২ সালে কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। তবে কাগজে-কলমে শয্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে প্রসূতি, শিশু, সার্জারি, মেডিসিন, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগসহ মোট ৪১টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন চিকিৎসক। বাকি ৫৭ জনের পদ শূন্য। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদ রয়েছে ৬৪টি। কিন্তু বর্তমানে কর্মরত আছেন ৮ জন। বাকি ৫৬ জনের পদ শূন্য। এ ছাড়াও নার্সের পদ রয়েছে ২৯টি। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৬ জন। বাকি ২৩ জনের পদও শূন্য। 
স্থানীয় সজিব, ছিদ্দিক ও মামুন বলেন, আমাদের গ্রামের প্রায় সবাই এই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে নি¤œ আয়ের মানুষজনের কাছে এটি একমাত্র চিকিৎসার ভরসাস্থল। কিন্তু এখানে এত কম চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী থাকার কারণে সেবা থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হচ্ছি। প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করানো হয় না, তাই আমরা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা বড় হাসপাতালে যেতে বাধ্য হই, যা আমাদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা।

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা ঠিকভাবে দেওয়া যাচ্ছে না। তবুও আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি বিভাগ চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তা চালু করা সম্ভব হয়নি।’বরগুনা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘জনবল সংকট নিরসনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সংকট নিরসন হবে।

প্যানেল হু

×