
ছবি: জনকণ্ঠ
ধান-চাল অবৈধভাবে মজুদ, বস্তার গায়ে মিলগেট দর, ধানের জাত, মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নওগাঁর বিভিন্ন চালকল ও অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং জেলা খাদ্য বিভাগ। অভিযানে এসিআইসহ মোট ৬টি চালকল ও অটো রাইস মিল থেকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে চার ঘণ্টা নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া এবং মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া ও সরস্বতীপুর এলাকার চালকল ও অটো রাইস মিলগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার।
অভিযানে অবৈধভাবে ধান মজুদের অভিযোগে মহাদেবপুরের চকগৌরী এলাকার জিহাদ চালকলকে ১ লাখ টাকা, সরস্বতীপুর এলাকার এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিটকে আতপ চালের প্যাকেটে অতিরিক্ত মূল্য লেখায় ৫০ হাজার টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চালকলকে অবৈধ মজুদের অভিযোগে ১ লাখ টাকা, রাকিব চালকলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চালকলকে ৫০ হাজার টাকা এবং শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান সম্পর্কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ধান ও চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। চালকলগুলোতে খাদ্য আইন অমান্য করে অবৈধ মজুদ, বস্তায় জাতের নাম, মিলগেট দর না থাকা ইত্যাদি অনিয়মের কারণে ৬টি মিলকে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, “মিলগুলোতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। যদি সরাসরি খাদ্য আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তবে ৪ ধারায় অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো যেত। অবৈধ মজুদ দ্রুত বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবার এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি এই অভিযানের ফলে ধান ও চালের দাম দ্রুত কমবে।”
অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ