ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

রাজশাহীতে নতুন সড়কে ধ্বস, ইউএনওর হস্তক্ষেপে চালু হলো অস্থায়ী যোগাযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৬:৫০, ১ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীতে নতুন সড়কে ধ্বস, ইউএনওর হস্তক্ষেপে চালু হলো অস্থায়ী যোগাযোগ

ঠিকাদারের অবহেলায় রাজশাহীর পবায় ভারী বর্ষণে একটি সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। উপজেলার নওহাটা পৌরসভার পাকুড়িয়া এলাকায় দুটি পুকুরের মাঝ দিয়ে যাওয়া সড়কটি ধসে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক আরাফাত আমান আজিজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাঁর হস্তক্ষেপে বালু ও মাটি ফেলে অস্থায়ীভাবে সড়কটি চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার অধীনে ২০ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জুয়েল ইলেক্ট্রোনিক্স অ্যান্ড জেভি ওয়াশিমুল হক’ ১০টি সড়ক নির্মাণ করছে। ধসে পড়া সড়কটি দুয়ারী প্রাইমারি স্কুল থেকে পাকুড়িয়া প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ চলমান কার্পেটিং কাজের অংশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটির দুই পাশে পুকুর থাকলেও ঠিকাদার সুরক্ষা দেয়াল (প্রোটেকশন ওয়াল) নির্মাণ করেননি। ফলে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মাটি নরম হয়ে সড়কের একটি অংশ ধসে গেছে। এতে দুটি গ্রামের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামবাসীকে বিকল্প পথে অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল।

নওহাটা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি দ্রুত মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পৌরসভা থেকে নতুন কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

এদিকে মঙ্গলবার ওই সড়ক পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নওহাটা পৌর প্রশাসক আরাফাত আমান আজিজ। তিনি বলেন, সড়ক ধসে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তি হচ্ছিল—তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দুটি গ্রামের হাজারো মানুষকে বিকল্প পথে অনেকটা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছিল, যা ছিল অত্যন্ত কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ। জনদুর্ভোগ লাঘব করা প্রশাসনের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। তাই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়ে বালু ও মাটি ফেলে একটি অস্থায়ী রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি, যাতে অন্তত মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়।

তিনি আরও বলেন, এটি একটি অস্থায়ী সমাধান মাত্র। আমরা ঠিকাদারকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে নিজ খরচে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করে এবং সুরক্ষা দেয়ালের কাজ সম্পন্ন করে। এই কাজে কোনো গড়িমসি সহ্য করা হবে না।

সানজানা

×