
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণসহ চার দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ি। মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে 'ত্রিপুরা-মারমা সচেতন নাগরিক সমাজ' এই দাবিতে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা পার্বত্য অঞ্চলের বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য, অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করছেন। এতে পাহাড়ের অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম বৈষম্য তৈরি হয়েছে।
বক্তারা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহে মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছে না। বরাদ্দ বণ্টনেও চলছে বৈষম্য। এমন পরিস্থিতি আর বরদাস্ত করা হবে না।” তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও যুগ্মসচিব কংকন চাকমাকে অপসারণ না করা হলে, বিক্ষুব্ধ জনগোষ্ঠী রাজপথে কঠোর অবরোধ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি মারমা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেল মারমা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সরোজ কান্তি ত্রিপুরা, আব্রে মারমা, প্রকৌশলী ক্যরী মগ, মহিলা নেত্রী মউক্রাচিং মারমা, যুব নেতা অংগ্য মারমা ও চাইহ্লাপ্রু মারমা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাপলা চত্বর ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতারা।
সজিব