
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী হাট এলাকায় নির্মিত চার লেনের অংশটি এখন সাধারণ পথচারীদের জন্য এক সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সড়কের মাঝখানে কংক্রিটের দেয়াল নির্মাণ করা হলেও পথচারী পারাপারের কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত এক মাসেই বেশ কয়েকজন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এই এলাকায়।
অব্যবস্থাপনার শিকার বাণিজ্যিক কেন্দ্র:
শঠিবাড়ী হাট এলাকাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এখানে সাধারণ মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম থাকে। কিন্তু ব্যস্ততম এই এলাকায় কোনো ফুটওভার ব্রিজ বা কার্যকর আন্ডারপাস না থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত। যানবাহনের গতি বাড়ানোর জন্য নির্মিত কংক্রিটের দেয়াল পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় এক দোকানদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে, অথচ রাস্তা পার হওয়ার কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেয়াল টপকে রাস্তা পার হতে হয়।
রাস্তার মাঝের দেওয়াল কিছু দিন হলো ৮ হতে ১০ হাত সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল এবং অটো গাড়ী সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পারাপার হচ্ছে।
অকেজো আন্ডারপাস, উপেক্ষিত জনদাবি:
এলাকাবাসীর দাবি, একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলেও সেটি কার্যত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তাদের অভিযোগ, আন্ডারপাসটি এমন নির্জন ও অনুপযুক্ত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে যে সাধারণ মানুষের সেখানে যাতায়াত নেই বললেই চলে। ফলে সরকারের অর্থ ব্যয়ে নির্মিত এই আন্ডারপাসটি জনকল্যাণে আসছে না।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার:
নিরাপদ ব্যবস্থার অভাবে পথচারীরা কংক্রিটের দেয়াল টপকে বা দ্রুতগতির যানবাহনের ফাঁক গলে রাস্তা পার হতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং নারী পথচারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
দাবি একটাই: ফুটওভার ব্রিজ অথবা কার্যকর আন্ডারপাস:
শঠিবাড়ী হাটের বাসিন্দারা অবিলম্বে এই এলাকায় একটি ফুটওভার ব্রিজ অথবা নতুন করে একটি কার্যকর আন্ডারপাস নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকা চরম হুমকির মুখে পড়বে এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
আলীম