ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৫ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২

ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল 

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৪ জুন ২০২৫

ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় মসজিদের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

ছবি: জনকন্ঠ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনোর বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটি। মসজিদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদকে সভাপতি ও ফলদা শেহাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক (অব.) মনোয়ার ইসলাম মনোকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি করা হয়।

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মসজিদের সভাপতি মাসুদুল হক মাসুদ আত্মগোপনে চলে গেলে কমিটির সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান চকদারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। এরপর কমিটি মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাবের জন্য সম্পাদক মনোকে একাধিকার মিটিং আহ্বান করার কথা বললেও তিনি মিটিং ডাকতে গড়িমসি করে। পরে কমিটির সদস্যদের চাপে বাধ্য হন মিটিং ডাকতে। কমিটি ৩৪ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল এবং মসজিদের ব্যাংক হিসাবেও টাকা দেখাতে পারেনি। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে ইউএনও এবং থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ দেয় কমিটি।

এ বিষয়ে সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো জানান, "সভাপতি আত্মগোপনে থাকায় আমার উপরে দায় চাপানো হচ্ছে। তারপরেও অডিট কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটা আমি মেনে নেব।"

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, "টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করেছে কমিটি। পরে দু’পক্ষকে ডেকে আনা হলে তারা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।"

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুজ্জামান চকদার বলেন, "সম্পাদক মনোয়ার ইসলাম মনো ভুয়া-বিল ভাউচার ও নয়ছয় করে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছে, কোনো হিসাব দেননি। এ বিষয়ে নতুন করে পাঁচ সদস্যের অডিট কমিটি করা হয়েছে। অডিটে ৩৪ লাখ টাকার বেশি গরমিলের সত্যতা পাওয়া যায়।"

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, "বিষয়টি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পাইনি।"

Mily

×