ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নিখোঁজের ৩ দিন পর যমুনা নদী থেকে শিবির নেতার মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বগুড়া

প্রকাশিত: ০০:২৯, ১৪ জুন ২০২৫

নিখোঁজের ৩ দিন পর যমুনা নদী থেকে শিবির নেতার মরদেহ উদ্ধার

দৈনিক জনকণ্ঠ

নিখোঁজের তিনদিন পর কলেজ শিক্ষার্থী শিবির নেতা মেরাজুল ইসলাম তমাল (১৮) এর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে যমুনা নদী থেকে। শুক্রবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

নিহত তমাল বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির এর ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় এই তরুণ এখন এলাকার পরিচিত মুখ।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের ভাষ্যে জানা যায়, গত ১১ জুন (বুধবার) সকালে মা-বাবাসহ পরিবারের ১১ সদস্য মিলে ঘুরতে যান কাজিপুরের যমুনা নদীর মেঘাই ঘাটে।

নদীতে নেমে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে গোসল করছিলেন তমাল। একপর্যায়ে তিনি সেলফি তুলে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করেন। সেটাই ছিল তার জীবনের শেষ টেস্ট।

এর কিছুক্ষণ পরেই খবর আসে তমাল নদীতে ডুবে গেছে। মুহূর্তেই আনন্দঘন পারিবারিক ভ্রমণ পরিণত হয় এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে।

বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সেটা ধরেই চেষ্টা চালিয়েও সন্ধান পাননি তমালের। স্থানীয় ডুবুরিরাও ব্যর্থ হন। তিনদিন ধরেই নদীর তীর ঘেঁষে প্রিয় সন্তানের খোঁজে পাগলপ্রায় হয়ে ঘুরে বেড়ান বাবা হারুনুর রসিদ।

অবশেষে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নদীর পাড়ে ভেসে ওঠে তমালের নিথর দেহ। হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্থানীয়রা। তমাল ছিল বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান। তার একটি ছোট্ট বোন যার বয়স মাত্র কয়েক মাস। ভাই হারানোর শোক এখনও বোঝার বয়স হয়নি তার।

তমালের মৃত্যুতে নয়মাইল জামালপুর গ্রামে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। সহপাঠী, প্রতিবেশী ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আজ শুক্রবার বাদ জুমা তমালের জানাজা শেষে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

হ্যাপী

×