ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

বাউফলে শিক্ষার্থীদের গণসংবর্ধনা সফল হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ড. মাসুদ

এনামুল হক এনা, উপকূলীয় প্রতিনিধি, বরিশাল

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১০ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৭, ১০ জুন ২০২৫

বাউফলে শিক্ষার্থীদের গণসংবর্ধনা সফল হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন ড. মাসুদ

পটুয়াখালীর বাউফলে ক্যারিয়ার গাইডলাইন কনফারেন্স ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা এবং তারুণ্যের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা সফল হওয়ায় বাউফলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দুই দফার কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থায়ী কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

আজ ১০ জুন (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পরে আড়াইটার দিকে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

দৈনিক জনকণ্ঠের মাধ্যমে বাউফলবাসীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “আমার বাউফলবাসী অতীতের মতো আজকেও আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমাকে চিরঋণী করে রাখলেন। আমি তাদের পাশে আমৃত্যু ছিলাম, আছি, থাকবো। একই সাথে আজকের এই ঐতিহাসিক আয়োজন সফল করার পেছনে যারা কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের প্রতিও আমার চিরকৃতজ্ঞতা, দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।”

এ সময় তিনি আরও বলেন, উপজেলা ছাত্রশিবির, জামায়াত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনসহ সকল সহযোগী সংগঠনকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইলো। তাদেরও ঐতিহাসিক আয়োজনটি সফল করার পেছনে অবদান রয়েছে। দৈনিক জনকণ্ঠসহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এই গণসংবর্ধনার ফলোআপ সংবাদ প্রচার করায় আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এ দিন সকাল থেকে ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে কথা বলেন সমাবেশে প্রধান অতিথি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, প্রধান বক্তা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাফেজ ডা. রেজওয়ানুল হক, অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, মাওলানা মো. ইসাহাক মিয়া ও মোঃ রকিবুল ইসলাম নূর।

এছাড়া একাডেমিক আলোচনা করেন ইঞ্জিনিয়ার আলী আম্মার মুয়াজ, ডা. মোঃ মুনতাসির ওয়াদুদ, নাহিদ ফারুক আল আজহারি, অ্যাডভোকেট মুনতাসির মুজাহিদসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ লিমন হোসাইন।

এ সময় ৭ হাজার ২শত কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট, ব্যাগ, টি-শার্ট, নোটবুক, কলম ও বইসেট পুরস্কারসহ দুপুরের খাবার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে ইসলামী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

বাউফলের ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা নিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া নূর বলেন, “আমি আজকের গণসংবর্ধনায় আসতে পেরে খুব খুশি। আমাকে হিজাব, ব্যাগসহ বই ও কলম উপহার দেওয়া হয়েছে। আমি চাই বছরে একবার এমন আয়োজন করুক ড. মাসুদ স্যার।”

অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া অয়ন বলেন, “আমার জীবনের সেরা কোনো অনুষ্ঠানে এসেছি মনে হচ্ছে। আমি ব্যাগ, টি-শার্ট, বই ও নোটপ্যাড পেয়েছি। ড. মাসুদ স্যারকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তিনি অনেক ভালো মানুষ।”

সীমা রানি দাস নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, “আজকের গণসংবর্ধনায় এসে আমার ভালো লাগার কারণ হচ্ছে, আমার ছেলে তার ক্যারিয়ারের গাইডলাইন জানতে পেরেছে। বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তারদের ক্যারিয়ার নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনায় আমার ছেলে অনুপ্রাণিত হয়েছে।”

আসমা বেগম নামের আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, “এত বড় একটি শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানে আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এবারই প্রথম আসা হলো। এখানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ছিলেন। এত মানুষের উপস্থিতিতে আমার সন্তানদের নতুন অভিজ্ঞতা হলো। এই আয়োজনের জন্য ড. মাসুদ সাহেবকে ধন্যবাদ জানাই।”

দৈনিক জনকণ্ঠকে বাউফল প্রেসক্লাবের চারবারের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান ডিউক বলেন, “বাউফলে আমার দেখা এ যাবত কালের সবচেয়ে শৃঙ্খলিত এবং ব্যাপক মানুষের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করা ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা এটি। আমার ধারণা ১০ থেকে ১৫ হাজার লোক এসেছে এই অনুষ্ঠানে। আসলে ড. মাসুদ সাহেব একজন মেধাবী নেতা। তার বুদ্ধিমত্তা থেকেই এ ধরনের শিক্ষার্থী বান্ধব বিশেষ আইডিয়া আসা সম্ভব হয়েছে। বাউফলবাসী তার জন্য ধন্য।”

সজিব

×