ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সারজিস আলম

"বিজিবিকে এতদিন হাসিনা জিম্মি করে রেখেছিল"

জামাল বাদশা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ২৯ মে ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত

সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী বিজিবিকে আওয়ামী লীগ সরকার জিম্মি করে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, বিজিবির যতটুকু শক্তিমত্তা রয়েছে, তা প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি। বরং বিজিবিকে সবসময় বিএসএফের কাছে ছোট করে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার চৌরঙ্গী মোড়ে এক পথসভায় এসব মন্তব্য করেন সারজিস।

তিনি বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের বিজিবির সেই সক্ষমতা আছে, যেকোনো দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে টেক্কা দেওয়ার।" তিনি আরও বলেন, "সক্ষমতা মানে শুধুমাত্র অস্ত্রের নয়, কলিজার সক্ষমতা থাকতে হয়। সেই কলিজার জোরেই ১৯৭১ সালে অস্ত্রের অভাবেও বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।"

নিজেকে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের প্রতিনিধি দাবি করে সারজিস ভারতের উদ্দেশে বলেন, "ভারতের বাংলাদেশের প্রতি আচরণ এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। এই আচরণ দিয়ে যদি প্রতিবেশীর মর্যাদা আশা করে, তাহলে তা হবে না। ভারত '২৪-এর অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ হত্যার নির্দেশদাতা, লাখো মানুষকে রক্তাক্ত করার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। যতদিন খুনি হাসিনা ভারতে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের মানুষের সাথে ভারতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।"

তিনি আরও বলেন, "সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলে সমতার ভিত্তিতে, সম্মান ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। আগের মতো দাসত্বের সম্পর্ক বাংলাদেশের মানুষ আর মানবে না।"

বিগত সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সারজিস আরও বলেন, "বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে বাংলাদেশ থেকে টাকা লুটপাট করে ভারতের আদানিদের পকেট ভারি করা হয়েছে। খুনি হাসিনা ও তার পরিবার ভারতের কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করে লক্ষ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছে। সেই চুরির টাকায় দেশ ও দেশের বাইরে বসে চক্রান্ত করছে। এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় বড় কথা বলে।"

তিনি বলেন, "চোরদের প্রশ্ন করতে হবে, তারা চুরি করেছে কি না। যদি করে থাকে, তাহলে তাদের দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই।"

বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে সারজিস তরুণ প্রজন্মসহ সবার প্রতি এনসিপির ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা বিনা, ডেপুটি মুখ্য সংগঠক মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় সংগঠক উত্তরাঞ্চলের রাসেল আহমেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়ক রকিবুল হাসান প্রমুখ।

পাটগ্রামের এই পথসভা ও পদযাত্রা শেষে সারজিস আলম লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায়ও পথসভা করবেন বলে জানা গেছে।

মারিয়া

×