
চুয়াডাঙ্গায় প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে অনুষ্ঠিত হয়েছে অবহিতকরণ সেমিনার। বুধবার (২৭ মে) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (দ্বিতীয় ফেইজ)’ প্রকল্পের আওতায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দীকা সোহেলী রশিদের সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক জুবায়ের আহম্মেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ও সিভিল সার্জন ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, জেলা সমাজ কল্যাণ কমিটির সদস্য ডাঃ মার্টিন হীরক চৌধুরী, সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মৌমিতা পারভীন, তোফাজ্জেল হক, জাকির উদ্দীন মোড়ল, সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক, সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজ, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, আহসান আলম এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।
সেমিনারের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বলতে আমরা সেই মানুষদের বুঝি, যারা সমাজের একেবারে নিচের স্তরে অবস্থান করে। যেকোনো মুহূর্তে তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ছিটকে পড়তে পারে। কামার, কুমার, মুচি, নাপিতসহ এসব পেশাজীবীদের দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারি, তারা কীভাবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন। অথচ এই মানুষগুলোরই শ্রম ও কারিগরি দক্ষতা আমাদের অর্থনীতিকে নীরবে এগিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে। তাই সরকার এসব জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রান্তিক জনগণের উন্নয়নে কী ধরনের সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া যায় তা আজকের সেমিনারে উঠে আসবে বলে আমি আশা করি। সবার পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে একটি সুসংহত পরিকল্পনা তৈরি করে বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা মাঠপর্যায়ে প্রান্তিক পেশাজীবীদের সমস্যা, চাহিদা ও উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ঋণ, উদ্যোক্তা সহায়তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়নের দাবি জানান। সেমিনারে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ সংকলন করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
সায়মা