দেশের উপকূলীয় অঞ্চল পটুয়াখালীতে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছে। আকাশজুড়ে মেঘের ঘনঘটা এবং সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে। সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপকূলের নিম্ন আয়ের মানুষ ও কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের কিছু কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় সবাইকে সতর্কভাবে চলাফেরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ মে) সকাল থেকে উপকূলজুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। এ সময় উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নামা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পাশাপাশি পায়রাসহ দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টির কারণে অনেক পর্যটক সৈকতে না নেমে হোটেল রুমেই সময় কাটাচ্ছেন। তবে কেউ কেউ বৃষ্টিবিলাসে মেতে উঠেছেন, গা ভিজিয়ে উপভোগ করছেন সমুদ্রের রূপ। কুয়াকাটায় পরিবারসহ বেড়াতে আসা অধিকাংশ পর্যটক, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা হোটেলেই অবস্থান করছেন।
খুলনা থেকে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক সানজিদা আক্তার বলেন, “পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছি। কিন্তু এসেই টানা বৃষ্টিতে পড়েছি। সবাইকে নিয়ে সৈকতে নামতে না পারলেও দুজন নেমে বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করেছি। আমরা একদিন অপেক্ষা করব, আবহাওয়া ভালো হলে কুয়াকাটার সব জায়গা ঘুরে দেখব।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, “সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ। তাই কুয়াকাটার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে বলা হচ্ছে। মাইকিং করে গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।”
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, “সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।”
নুসরাত
