
ছবিঃ সংগৃহীত
ঘনিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দিন যত পার হচ্ছে, ততই জমে উঠছে কোরবানি পশু কেনা-বেচা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার জন্য ভোলার লালমোহন উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৭১টি গবাদি পশু, যার মধ্যে রয়েছে গরু ১০ হাজার ১৭০টি, মহিষ ৫৭৫টি, ছাগল ৪ হাজার ৭৫৫টি এবং ভেড়া ৬৭১টি। এসব গবাদি পশুর গড় বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৬ কোটি ৪০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঈদুল আজহাকে ঘিরে ইতোমধ্যে লালমোহন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে বিক্রির জন্য গবাদি পশু উঠতে শুরু করেছে।
দিন যত যাচ্ছে, ততই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লালমোহন উপজেলার পশুখামারি। নিজেদের লালন-পালন করা পোষা গবাদি পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তাদের মধ্যে রয়েছে দেশী-বিদেশী জাতের বিভিন্ন প্রজাতির পশু। ইতোমধ্যে অনেক খামারি নিজেদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য বাজারে তুলেছেন। ঘাস-খড়-ভুসি এবং দানাদার খাদ্য খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা।
সরেজমিনে লালমোহন পৌরশহরের পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন। বিক্রেতা মো. লিটন, ইব্রাহিম ও হারুন জানান, বাজার এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি। তবে দিন যত যাবে, ততই বাজার জমতে শুরু করবে। বর্তমানে গত বছরের তুলনায় ক্রেতারা পশুর দাম কম বলছেন। প্রাকৃতিক উপায়ে এসব পশু মোটাতাজা করায় খরচ বেশি হয়েছে, তাই আমরা চেষ্টা করবো ব্যয় বাদে মোটামুটি সন্তোষজনক কিছু আয় হলে পশু বিক্রি করার।
উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের কর্তার কাচারি এলাকার গরু বিক্রেতা লিটন বলেন, এ বছর একটি দেশি গরু কোরবানির জন্য পালন করেছি। এটি প্রথমবার বাজারে তুলেছি। এর দাম চাচ্ছি দেড় লাখ টাকা। ক্রেতারা এক লাখ টাকা বলছেন। তবে ক্রেতারা দাম আরেকটু বাড়িয়ে বললেই বিক্রি করে দেবো গরুটিকে।
এদিকে, কোরবানির জন্য সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশুর খোঁজ করছেন ক্রেতারা। এমনই এক ক্রেতা মো. সোহেল জানান, এ বছর কোরবানিতে পশু কেনার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ টাকা। তবে পছন্দের পশুর দাম বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে এরই মধ্যে কয়েকটি বাজার ঘুরেছেন পছন্দের পশু কেনার জন্য। বাজেটের মধ্যে পছন্দের পশু পেলে শিগগিরই কিনে নেবেন। তবে বাজার ঘুরে যতটুকু মনে হয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা বেশি।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. রইস উদ্দিন বলেন, আমরা বছরের বিভিন্ন সময় উপজেলার খামারি ও গবাদি পশু লালন-পালনকারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে কোনো খামারি যেন কৃত্রিমভাবে গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারে, সেদিকে আমরা নজর রাখছি। এছাড়া কোরবানির আগ পর্যন্ত আমাদের চারটি টিম উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে নিয়মিত তদারকি করবে।
মারিয়া