
আমাদের দেশে গ্রীষ্মের আগমনে সমগ্র বাংলা কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙে রঙ্গিন হয়ে উঠে,সেই ফুলের রঙে রাঙানো আমাদের নোয়াখালী চাটখিল উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ শুধু তাই নয় গ্রাম গঞ্জে পাড়া মহল্লায় বাড়ির উঠোনে,স্কুল,মসজিদ আঙ্গিনায় কৃষ্ণচূড়া ফুল তার নিজস্ব চন্দে চন্দে হৃদয়ে দাগ কেটে যায় এবং প্রচন্ড তাপদহনে দেয় প্রানে প্রশান্তি।
পৌর বাজারকে ৩ খানা কৃষ্ণচূড়া নববধূর সাজে সজ্জিত করেছে,উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ গেইটে দাঁড়িয়ে থাকা রূপবতী কৃষ্ণচূড়া লাল শাড়ীতে স্বাগত জানিয়ে প্রানবন্ত করেছে উপজেলা পরিষদের আঙ্গিনা,অপরদিকে পশ্চিম গেইটে আরেক রমনীকে দেখা যায় রুপ ছড়াতে তারই ধারাবাহিকতায় পৌর অফিসের সামনে জনবহুল শব্দ মুখরিত ক্লান্তি ভরা নয়নে চোখ যদি পড়ে পানির ট্যাংকির দিকে ভালোবাসায় ভালোবেসে প্রাণ জুড়াবে আরেক সুহাসিনী কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতির এই চমৎকার সৌন্দর্য মণ্ডিত দৃশ্য গুলা সত্যি হৃদয়ে বয়ে প্রানের ফুলেল শিহরন।
চাটখিল মহিলা কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে বলেন, নগরায়নের যুগে এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের আগের মতো আর টান অনুভব করে বলে মনে হয় না, উন্নয়নের নামে একদিকে সৌন্দর্য বর্ধক গাছ কাটা হলেও বিপরীত দিকে নতুন কোনো গাছ রোপন হয় না বললেই চলে,আশপাশে এখনো যে দু'চারটা কৃষ্ণচূড়া থেকে গেছে, এগুলো দেখে ভালো লাগলেও আমরা ধরেই নিতে পারি,নতুন কোনো এক উন্নয়নের নামে এগুলোও কাটা পড়ে যাবে একদিন।
নারী অধিকার কর্মী,স্বেচ্ছাসেবক ও লেখক তারফিনা শাহানাজ রজব জনকণ্ঠকে বলেন,আমাদের চাটখিল উপজেলা প্রাঙ্গণে যে কয়েকটি কৃষ্ণচূড়া গাছ রয়েছে এইগুলো এক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। কোনো কারনে যদি মন খারাপ থাকে আর সেই পথ দিয়ে আমি যাত্রা করি তবে এই গাছের লাল টুকটুকে ফুল দেখে মনের অজান্তেই মুখে হাসি ফুঁটে উঠে,মন ভালো হয়ে যায়।
আমরা বন্ধুরা বিভিন্ন সময় এই গাছগুলোর তলায় দাঁড়িয়ে ও সময় কাটাই, ছবি তুলি। চাটখিল উপজেলায় দর্শনীয় কোনো স্থান না থাকায় এইগুলো আমাদের জন্য আকর্ষণীয়। এই সময়টাই এমন কৃষ্ণচূড়া, জারুল, এইফুল গুলি নাগরিক জীবনের সকল ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে দেয়,মানুষকে প্রকৃতির প্রশান্তিকে উপলব্ধি করাতে পারে। এই গাছগুলি সবসময় এইভাবে নগরবাসীর পাশে থাকুক কখনো কেটে ফেলা না হোক।
ব্র্যান্ডিং বাংলা ইউথ প্রতিষ্ঠাতা ফজলে রাব্বি আবিদ জনকণ্ঠকে বলেন,কৃষ্ণচূড়া গাছ এটি খুবই মূল্যবান একটি বৃক্ষ,এটি সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশের জন্য ও উপকারী,গ্রীষ্মের তাপদাহে উপকারী মানুষ ছায়া এবং সতেজ নিঃস্বাস নিতে পারে, আমাদের উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ৩ টি গাছ আছে এগুলার রক্ষনাবেক্ষন এবং আরো গাছ লাগানোর জন্য আমাদের উপজেলা প্রশাসন সহ পরিবেশ অধিদপ্তর কে জানাবো।
কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া আরো একটি নাম হলো গুলমোহর কিন্তু যে নামেই ডাকিনা কেনো এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রান খুলে গাইতে ইচ্ছে করে "আজ কৃষ্ণচূড়ার সাজে সেজেছে রঙ্গে রঙ্গে সেই রঙ্গ হৃদয়ে মেখে" কৃষ্ণচূড়া শুধু ফুল নয় এটি আমাদের আবেগ, ভালোবাসা, রিদয়ের স্পন্দন, আত্মার খোরাক, হৃদয়ের টান এই কৃষ্ণচূড়ার প্রেম আমরা কখনোই ছাড়তে পারবোনা এর ঐশ্বর্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উপভোগ করাতেই হবে।
রাজু