
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদানের জন্য গুগল ফর্মের মাধ্যমে তথ্য আহ্বান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, তথ্য প্রদানের জন্য দেওয়া লিংকটি কাজ করছে না, ফলে তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির জন্য গত ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে গুগল ফর্মের একটি লিংক সংযুক্ত করে বলা হয়, আগামী ২৮ মে’র মধ্যে নির্ধারিত তথ্য ও ১০০ টাকার জমার রশিদ আপলোড করতে হবে। তবে লিংকে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি অকার্যকর বা গুগলের শর্তাবলীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় লিংকটি বন্ধ রয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর ইশরাক বলেন, “ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এত বছর পরও অনেক বিষয়ে এনালগ পদ্ধতি চালু রয়েছে। স্মার্ট আইডি ছিল ডিজিটালাইজেশনের একটি পদক্ষেপ। অথচ তথ্য সংগ্রহের জন্য গুগল ফর্ম ব্যবহার করে সেটিও সঠিকভাবে চালু রাখা সম্ভব হয়নি।”
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জয় দাস বলেন, “ব্যাংকে গিয়ে ১০০ টাকা জমা দিয়েছি। এখন ফর্মে ঢুকতেই পারছি না। এটা খুবই হতাশাজনক।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহজাহান আলী জনকণ্ঠকে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। একই সময়ে অনেক শিক্ষার্থী আবেদন করতে গেলে এমন সমস্যা হতে পারে। আমরা প্রয়োজন হলে নতুন একটি লিংক চালু করব এবং সময়সীমাও বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা করছি। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আধুনিক পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে ‘RFID স্মার্ট আইডি কার্ড’ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়েই গুগল ফর্ম সংক্রান্ত সমস্যায় প্রশাসনের প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
মুমু