
কুমিল্লার তিতাসে অপহরণের তিনদিন পর নিখোঁজ সাজিদকে উদ্ধার এবং অপহরণের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আবু মুসা মুন্সী ও সিএনজি চালক মো. আবু মুছাকে গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ ৷
উদ্ধারকৃত সাজিদ তিতাস উপজেলার খলিলাবাদ গ্রামের জাহিদ হাসানের ছেলে৷ রবিবার (২৫ মে)দিবাগত ভোর ৫টায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সিঙ্গুলা গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় ৷
এঘটনায় সোমবার(২৬ মে) সকালে অপহ্নত সাজিদের পিতা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন৷ গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো.আবু মুসা মুন্সী (৪৫) দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সিঙ্গুলা গ্রামের দুলাল মুন্সীর ছেলে ও একই গ্রামের সিএনজি চালক মো. আবু মুছা (৩৭) সফিকুলের ছেলে ৷ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ উল্যাহ৷
পুলিশ জানায়,গত শনিবার(২৪ মে) অপহ্নত সাজিদকে তার নিজ গ্রাম খলিলাবাদ এলাকার থেকে ৪/৫ জনের কয়েকজন লোক জোরপূর্বক সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়৷পড়ে তার পিতা জাহিদ হাসানের মোবাইলে ফোন করে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে৷চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার ছেলে সাজিদকে বেদম মারধর করে৷এদিকে ওইদিনই অপহ্নত সাজিদের বাবা জাহিদ হাসান তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে৷ অভিযোগের ভিত্তিত্বে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রবিবার(২৪ মে)দিবাগত ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে মো. আবু মুসা মুন্সী ও সিএনজি চালক মো.আবু মুছাকে গ্রেপ্তার করে৷এসময় অপহরণকারী মো.আবু মুসা মুন্সীর বসতঘর থেকে সাজিদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ উল্যাহ জানান,অপহ্নত সাজিদের পিতা জাহিদ হাসান গত শনিবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷তার প্রেক্ষিতে আমরা সাথে সাথে তদন্তে নেমে পড়ি এবং তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় অপহরণের অভিযোগে আবু মুসা মুন্সী ও সিএনজি চালক মো.আবু মুছাকে গ্রেপ্তার করি৷এসময় অপহরণকারী মো.আবু মুসা মুন্সীর বসতঘর থেকে সাজিদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়৷ এ ব্যাপারে জাহিদ হাসান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন ৷
সায়মা