
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তাজরুল ইসলামের (তাজ এগ্রো) খামারে পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে উন্নত জাতের ৬৪টি গরু। এসব গরুর দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
তাজরুল ইসলাম উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের সাব্দী মৌলটারী এলাকার বাসিন্দা ও মায়ের দোয়া বীজ ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী।তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং কৃষক হলেও ‘তাজ অ্যাগ্রো’ নামে তার একটি গরুর খামার রয়েছে। সেই খামারে ৫টি শাহী ওয়ান সহ তার গরু রয়েছে ৬৪টি।
জানা গেছে, তাজরুল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রেই দীর্ঘদিন ধরে কৃষি পেশার পাশাপাশি বীজ, সার, কীটনাশকের ব্যবসার সাথে যুক্ত । ২০২৪ সালে তার গ্রামের বাড়ি সাব্দী মৌলটারীতে গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম। ছোট ছোট গরু দিয়ে শুরু করলেও ৬৯ টি গরুর মধ্যে বর্তমানে তাঁর খামারে গরুর সংখ্যা ৬৪ টি। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত তাঁর খারে প্রস্তুত রয়েছে ৬৪ টি।
খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারে সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে গরু। গরুগুলো মোটা, তরতাজা ও বিভিন্ন রঙের। এসব গরু ঈদের বাজারে বিক্রি করা হবে। তবে ক্রেতাদের সুবিধার্থে সরাসরি খামারে এসে গরু কেনার পাশাপাশি অনলাইনেও কেনার সুযোগ রাখার কথা জানান তাজ এগ্রোর মালিক তাজরুল ইসলাম।
খামারের মালিক তাজরুল ইসলাম বলেন, নিজেকে স্বাবলম্বী করতে খামার করেছি। আমার খামারে বর্তমানে ৫টি শাহী ওয়ান সহ মোট ৬৪ টি গরু আছে, প্রায় সবগুলো গরু আগামী কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যা সম্পূর্ণ ইনজেকশন মুক্ত এবং প্রাকৃতিক খাবার, গম, ভুট্টা, খইল, ঘাস খেয়ে বড় হচ্ছে এসব গরু।
কাউনিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এআরএম আল মামুন বলেন, উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৩২৭৩ টি খামার রয়েছে। এসব খামারে ৬৬১৩টি ষাঢ়, ২ হাজার ২৬ টি বলদ এবং ১৩ হাজার ৯৪৫ টি ছাগলসহ মোট প্রায় ২৫ হাজার ৬৪২টি পশু কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত আছে। স্থানীয় ভাবে কোরবানি পশু কেনা বেচা হলে আরো প্রায় ৮হাজার ৪০৩ টি পশু উদ্বত্ত থাকবে।সার্বক্ষণিক খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছেন বলে ডা: এআরএম আল মামুন জানান।
সায়মা