
নরসিংদী সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিনের ইসলাম, কোরআন শরীফ ও হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে নরসিংদী জেলায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় হেফাজত ইসলামসহ কলেজের শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং নাদিরার অপসারণ ও শাস্তির দাবি করেছে।
বুধবার (২৫ মে) সকালে নরসিংদী জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে শহরের শিক্ষা চত্তরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। সভায় হেফাজত ইসলাম নরসিংদী জেলা শাখার উপদেষ্টা আল্লামা বশির উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি রশিদ আহমেদ, সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আব্দুল নূর, সাধারণ সম্পাদক আল্লামা ইসমাইল নূরপুরী এবং দপ্তর সম্পাদক মুফতি নুরুল হুদাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা জানান, নাদিরা ইয়াসমিন তার রচিত “হিস্যা” ম্যাগাজিনে কুরআনের বিধানগুলোকে অস্বীকার ও অসম্মানজনকভাবে উপস্থাপন করেছেন। ম্যাগাজিনের ১৪ পৃষ্ঠায় কুরআনের উত্তরাধিকার বিধানকে অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করেছেন। ৩৫ পৃষ্ঠায় পনেরশ বছর পুরনো কুরআনের বিধান সমাজ ও রাষ্ট্রে কার্যকর থাকবে না বলে দাবি করেছেন। ৩৮ পৃষ্ঠায় স্ত্রী-স্বামীর সম্পর্ক নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন এবং ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের প্রতি কটূক্তি করেছেন। এছাড়া তার “নারী অঙ্গণ” নামক সংগঠন থেকে বিতরণকৃত লিফলেটে বিভিন্ন ইসলাম ও সমাজ বিরোধী বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
বক্তারা বলেন, এসব মন্তব্য ও কার্যকলাপে নাদিরা ইয়াসমিন মুসলমান হিসেবে গ্রহণযোগ্য নন এবং তিনি মুরতাদ হয়েছেন। তারা বলেন, তিনি যদি তওবা করে কালেমা পড়েন, তাহলে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে, নতুবা তাকে নরসিংদী ও বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। তসলিমা নাসরিনের মতো তারও এখান থেকে চলে যেতে হবে বলে হুশিয়ারি দেন হেফাজত নেতারা।
বিক্ষোভ শেষে একটি মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করে। তারা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাদিরা ইয়াসমিনকে বদলি করার আল্টিমেটাম দেয় এবং প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে জেলায় অস্থিতিশীলতার জন্য প্রশাসন দায়বদ্ধ থাকবে বলে হুশিয়ারি দেয়।
আসিফ